অকাল বর্ষণে আবার বন্যা অসম, অরুণাচলে
লাগাতার বৃষ্টির ফলে ফের বন্যার তাণ্ডব শুরু হয়েছে অসম ও অরুণাচলে।
বর্ষায় জিয়াঢল, ঘাই নদীর জল ধেমাজি-লখিমপুরের বহু মানুষকে আগেই গৃহহীন করে দিয়েছে। এখনও সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ধেমাজিবাসী। ফের অকাল বর্ষণে জেলার শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন। গত তিনদিনের বর্ষণে ঘাই, জিয়াঢল, কুমোটিয়া, লালি, চামোং নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। ধেমাজি ছাড়াও পাশ্ববর্তী লখিমপুরের শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন। রাঙাজান, রাঙানদী, দিহিং, কপিলি, টিংরা নদীর জল বিপদসীমা দিয়ে বইছে। বর্ষায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ গড়ার সময়ই মেলেনি। নতুন করে বাঁধে ফাটল ধরার খবরও এসেছে। জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে প্রবল বেগে বইছে জলস্রোত। ফলে ১৫ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। সব মিলিয়ে এখন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ নতুন করে বন্যা কবলিত। পাশাপাশি, কামরূপ জেলার রঙ্গিয়াতেও বন্যার প্রকোপ শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, বন্যা ও হড়পা বানে অরুণাচলের পাসিঘাট জেলার বিরাট অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পেনাং নদীর তোড়ে বাঁধ ও সেতু ভেসে গিয়েছে। নিংলোক নদীর জলের ধাক্কায় সেতুর দেওয়াল ধসেছে।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী শরদ পাওয়ার ঘোষণা করেন, অসমকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে ৫৩৬ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। অরুণাচল পেতে চলেছে ১৪০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই অসমের বন্যার জন্য ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। চলতি বছরে অসমের ২৩টি জেলার ২২ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৭৭ জন। ব্রহ্মপুত্রের ৫৩টি, বরাকে ১টি ও অন্যান্য নদীর ৪৩টি বাঁধ ভেঙেছে। অসম সরকার ৪,৪৫৯ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতি ও বন্যার ক্ষতি সামলাতে কেন্দ্রের কাছে ৩,৪৬০ কোটি টাকা চেয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.