নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র অমেঠীতেই পরপর দু’দিন বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাহুল গাঁধী। গত কাল কলেজ ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সাংসদ। আজও দফায়-দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। প্রথম বার তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। দ্বিতীয় বার ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মহিলা শাখা।
অমেঠী রেল স্টেশনের কাছে একটি উড়ালপুলের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিলেন চিৎকাপুর এবং রাধেপুর গ্রামের বাসিন্দারা। অমেঠী সফরে গিয়ে তিনি উঠেছেন মুন্সিগঞ্জ অতিথি নিবাসে। এ দিন সেই উড়ালপুল-সহ হ্যান্ডপাম্প, চিকিৎসাব্যবস্থা, শিক্ষা, রাস্তার দাবি নিয়ে কথা বলার জন্য ওই দুই গ্রামের ৩৫-৪০ জনের একটি দল রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে যায়। কিন্তু অতিথি নিবাসে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তখন অতিথি নিবাসের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পরে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এবং প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গ্রামবাসীরা ভিতরে গিয়ে রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন। |
রাহুল জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি-দাওয়া শীঘ্রই পূরণ করা হবে। এর পরেই ক্ষুব্ধ রাহুল প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে জানতে চান, গ্রামবাসীদের উড়ালপুলের দাবিকে কেন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি?
এখানেই শেষ নয়। এ দিন সন্ধেবেলায় জামো এলাকার কেপি ইন্টার কলেজ চত্বরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি সভা করছিলেন রাহুল। সেই সময় সভাস্থলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মহিলা শাখার সদস্যরা। সেনাবাহিনীর নিয়োগ দফতরের শাখা অন্যত্র সরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদেই কিষাণ ইউনিয়নের মহিলা শাখার এই বিক্ষোভ। যদিও এই বিক্ষোভকে খুব একটা পাত্তা দেননি সাংসদ। গত কাল জইস এলাকায় রাহুল গাঁধীর কনভয়ের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন একটি সরকারি কলেজের ছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল কলেজের পরিকাঠামো এবং শিক্ষকের অভাব রয়েছে। বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাহুলের কনভয় অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর আজকের এই দু’জায়গার বিক্ষোভ। খাস অমেঠীতে রাহুলের বিরুদ্ধে এই সব বিক্ষোভ স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় রাখছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এ দিন অন্য একটি অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদের হুইলচেয়ার দেন অমেঠীর সাংসদ রাহুল গাঁধী। |