ইসলাম-বিরোধী ছবির প্রতিবাদে কায়রোয় বিক্ষোভ অব্যাহত। আজও সেখানে মার্কিন দূতাবাসের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের।
গত কালের সংঘর্ষে ২২৪ জন জখম হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে আট জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ দিনও বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কমবয়সীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শুধু মাত্র দূতাবাসের সামনেই নয়, সেখানে আসার রাস্তাগুলিতেও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তাহ্রির স্কোয়ারেও জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। দূতাবাসের সামনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ইসলাম-বিরোধী ছবিটির প্রতিবাদ জানালেও এই ধরনের হিংসাত্মক আন্দোলন না-পসন্দ মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড দলের। দেশের মসজিদগুলির বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তারা।
ছবিটির প্রতিবাদে আজ সুদানের রাজধানী খারতুমে ব্রিটিশ এবং জার্মান দূতাবাসেও আগুন লাগিয়ে দেন প্রায় পাঁচ হাজার বিক্ষোভকারী। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি-মুনও ছবিটির নিন্দা করেছেন। তবে ছবিটির প্রতিবাদে আরবের বিভিন্ন দেশে অশান্তিরও কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। এই ছবিটির প্রতিবাদেই মঙ্গলবার রাতে লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন দূতাবাসে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। নিহত হন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনস। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, তাই নিরাপত্তার খাতিরে বেনগাজির আকাশে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। |