এক বধূকে পুড়িয়ে মারার দায়ে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কালনা মহকুমা আদালত। শুক্রবার ওই রায়ের পাশাপাশি অপরাধীদের ২০০০ টাকা করে জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের নাম মাধবী চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলে সজল চট্টোপাধ্যায়। এ দিন দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারপতি পবনকুমার মণ্ডল ওই নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার ওই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সাজাপ্রাপ্তদের আত্মীয়েরা জানান, উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৯ সালে মন্তেশ্বরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীর সঙ্গে মামুদপুর গ্রামের সজল চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে হয়। পরের বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রিয়াঙ্কার কাকা বিশ্বজিৎ গোস্বামী মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগে জানায়, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য প্রিয়াঙ্কার উপর শারীরিক অত্যাচার চালাতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি অভিযোগ করেন, ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রিয়াঙ্কার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁর শাশুড়ি ও স্বামী। নিজেকে বাঁচাতে কাছাকাছি একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে প্রিয়াঙ্কা তাঁর মা মীরাদেবী ও বাবা বিমলেন্দু গোস্বামীকে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা জানান।
মামলার সরকারি আইনজীবী বিকাশ রায় জানান, সেই দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মৃত্যু হয় প্রিয়াঙ্কার। হাসপাতালের তৎকালীন চিকিৎসক সুশীল মুর্মু ও নার্স শিবানী কিস্কুকে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেন প্রিয়াঙ্কা। বিকাশবাবু বলেন, “ওই দুই চিকিৎসক ও নার্স-সহ মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তার পরেই রায় ঘোষণা করে আদালত।”
|
নারী ও শিশুকল্যাণ বিষয়ক একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন হল কালনার নিভূজিবাজার এলাকায়। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে এবং শিশুকল্যাণ এবং নারী ও সমাজকল্যাণ দফতরের সাহায্যে পরেশ স্মৃতি পাঠাগারে ওই আলোচনাচক্রের আয়োজন হয়। খাবারের পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা হয়। নারী-পাচার, বাল্যবিবাহ ও পণপ্রথা নিয়ে দু’টি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন কালনা ১ ব্লকের সিডিপিও রেবা দাস, হাটকালনা পঞ্চায়েতের প্রধান কালীপদ বাগ-সহ বহু বিশিষ্টেরা। |