ইন্টার-কাউন্সেলিংয়ের শেষ দিনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল বর্ধমানের রাজ কলেজে। জখম হন মোট পাঁচ জন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার ছিল কলেজের ইন্টার কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভর্তির শেষ দিন। পাশ কোর্স থেকে অনার্সের ফাঁকা পড়ে থাকা ভর্তি ছাড়াও এর মাধ্যমে অনার্সের বিষয় পাল্টে নেওয়ারও সুযোগ ছিল। এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ভর্তির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক জনকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েক জন নেতা এসে ধাক্কা মেরে লাইন থেকে বের করে দেন অভিযোগ। তাঁরা দাবি করেন, কলেজে কোনও আসন ফাঁকা নেই। তাই কোনও কাউন্সেলিং হবে না। এই ঘটনায় পিছনে কলেজের টিএমসিপি নেতা সন্তোষ সিংহ গোষ্ঠীর লোকজনই যুক্ত বলে অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের একাংশের।
সন্তোষ সিংহ গোষ্ঠীর মহম্মদ আজহারউদ্দিন, শৈলেন শোনকারের দাবি, “কলেজে শুভায়ু সাহা গোষ্ঠীর কয়েক জন নেতা কাউন্সেলিং চলার সময়ে কলেজের ছাত্র সংসদে ঢুকে গোলমাল বাধাচ্ছিলেন। ওদের আমরা মেরে বের করে দিয়েছি। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়া হয়নি।”
অন্য দিকে, শুভায়ু সাহা গোষ্ঠীর নেতা অভিজিৎ দত্ত, টিঙ্কু ক্ষেত্রপালের পাল্টা দাবি, “লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের দিকের কয়েক জন ছাত্রছাত্রীদের ধাক্কা দেওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করি। তাতেই গোলমাল বাধে।” প্রতিকারের দাবিতে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন শুভায়ু সাহা গোষ্ঠীর নেতারা। থানায় বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর চার নেতার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও দায়ের করেন শুভায়ু সাহা গোষ্ঠীর নেতারা। কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দীর দাবি, “ঘটনাটির কথা আমি জানি না। গোলমালের কোনও খবরও পাইনি। কাউন্সেলিং তো ঠিক মতোই চলছে।” |