দুই মিনিবাসের রেষারেষিতে দুর্ঘটনায় জখম হলেন প্রায় ১০ জন যাত্রী। শুক্রবার কুলটিতে ঘটনাটি ঘটে। আহতদের আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। মিনিবাস দু’টি আটক করেছে পুলিশ। চালক ও খালাসিরা পলাতক।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আসানসোলগামী দু’টি মিনিবাস রেষারেষি করে ছুটছিল। নিয়ামতপুর পেট্রোল পাম্প স্টপেজের কাছে একটি মিনিবাস অপরটির পাশ কাটিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করার সময়ে জি টি রোডের পাশে একটি বড় নালায় পড়ে যায়। আহত হন ওই বাসটির প্রায় দশ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে আনা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশের গাড়িতেই তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। এডিসিপি (ট্রাফিক) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বাস দু’টি বেপরোয়া ভাবে কেন যাচ্ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীরা শাস্তি পাবে। |
আসানসোল শিল্পাঞ্চলে মিনিবাসের রেষারেষি নতুন কিছু নয়। আগেও একাধিকবার এই কারণে দুর্ঘটনায় যাত্রী ও পথচারীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু তা-ও মিনিবাস চালকদের অধিকাংশই উদাসীন বলে অভিযোগ। আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবারের এই ঘটনার পৃথক তদন্ত শুরু করেছে তারা। সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ রায় জানান, প্রাথমিক তদন্তে বোঝা গিয়েছে, বাস দু’টি বেপরোয়া ভাবে যাচ্ছিল। তাঁর দাবি, “দু’টি বাসেরই চালক ও খালাসির পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। আমরাও সাংগঠনিকভাবে শাস্তি দেব।” সুদীপবাবু জানান, নিয়ম মেনে সঠিক পদ্ধতিতে বাস চালানোর জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে মাঝেমাঝেই চালক খালাসিদের নিয়ে কর্মশালা করেন তাঁরা। কিছু দিন চালকেরা ঠিকভাবে গাড়ি চালান। কিন্তু কিছু দিন পরেই আবার আগের অবস্থা তৈরি হয়। অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাস দু’টির চালক ও খালাসিরা আইএনটিটিইউসির সমর্থক। আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ওই সংগঠনের কাছে এ’বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। আইনটিটিইউসি অনুমোদিত মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া জানান, খোঁজখবর করে অভিযুক্ত চালক ও খালাসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। |