সাম্মানিকের টাকা দু’বছর ধরে আটকে। টাকার খোঁজে ব্লক প্রশাসন ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দরজায় ঘুরে নাকাল উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ১ ব্লকে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ১৩২ সহায়িকা। টাকা পাওয়া দূরে থাক, কেউ জানাতেই পারেননি সাম্মানিক ভাতার বরাদ্দ টাকা কোথায় আছে। কবে নাগাদ তা হাতে পৌঁছবে জানা যাচ্ছে না তা-ও। যদিও সমস্যার কথা অস্বীকার করছেন না কেউ। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসও মিললেও কাজ হচ্ছে না। গোয়ালপোখর ব্লকের বিডিও সুব্রতকুমার বর্মন বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে। জেলা আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলব।” উত্তর দিনাজপুরের জেলা পরিষদ সভাপতি মুকতার আলি সর্দার বলেন, “বিষয়টি জানি। টাকা কোথায় গেল সেটাই প্রশ্ন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। ওঁরা খোঁজ করছেন।” বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের সাহাপুর শাখার ম্যানেজার বিজয় গুহ বলেন, “অগস্ট মাসে সহায়িকাদের সাম্মানিক ভাতার টাকা ব্যাঙ্কে আসেনি।” শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকারা জানান, ২০১১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত গোয়ালপোখর-১ ব্লকের সাহাপুর-১ পঞ্চায়েতের অধীন ১৩২ সহায়িকার সাম্মানিক একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হত। তাঁদের জন্য ২০১০ সালের অগস্ট মাসে বরাদ্দ ছিল ৭ লক্ষ টাকা। অথচ ওই সাম্মানিক কেউ হাতে পাননি। ওই টাকা কোথায় আছে তাও কেউ বলতে পারছে না। ব্লক প্রশাসন সূত্রে তাঁরা জেনেছেন সাম্মানিকের কাগজ ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে। সহায়িকাদের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে গেলে বলা হচ্ছে টাকার কথা ব্লক প্রশাসনের কর্তারা বলতে পারবেন। বিডিও অফিসে গেলে বলা হচ্ছে সাম্মানিকের কাগজ ব্যাঙ্কে পাঠানো আছে। কোথায় টাকা আছে সেটা কেউ স্পষ্ট করে জানাচ্ছেন না। সর্বশিক্ষা মিশনের আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দেবনাথ বলেন, “ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে টাকা খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।” সহায়িকাদের সাম্মানিকের বিষয়ে ব্লক থেকে নথি ব্যাঙ্কে পাঠানো হত। একই নথি যায় জেলায়। ব্যাঙ্ক জেলা থেকে টাকা সংগ্রহ করে সহায়িকাদের হাতে তুলে দিত। ২০১০ সালের অগস্ট মাসে একই ভাবে নথি পাঠানো হয়। কিন্তু সাহাপুর ১ সহায়িকারা টাকা পাননি বলে অভিযোগ। |