জেনকিন্স স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ধ্রুবজ্যোতি দাসের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তারই তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মৃতের কাকা পঙ্কজ দাস ওই তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরে ধ্রুবজ্যোতির তিন সহপাঠীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার জন্য ডিএসপি (সদর) এবং কোতোয়ালি থানার আইসিকে দায়িত্ব দিয়েছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। বুধবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ দুই নম্বর কালীঘাট রোডে এলাকার এক অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে বুধবার কোতোয়ালি থানায় বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদ। জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন জেনকিন্স স্কুল অভিভাবক কমিটির সদস্যরা। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত কুমার সিংহ বলেন, “খুনের মামলা হয়েছে। ডিএসপি, আইসিকে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ সবকিছু খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” মৃত্যুর কারণ নিয়ে সংশয় কাটাতে ধ্রুবজ্যোতির ভিসেরা বেলগাছিয়া পাঠানোর জন্য সংরক্ষণ করেছেন ময়নাতদন্তকারীরা। গত সোমবার কোচবিহারের ডাউয়াগুড়ির বাসিন্দা ধ্রুবজ্যোতি জেনকিন্স স্কুলে এসে মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন করায়। পরে স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ায় সে বাড়ি ফিরে না গিয়ে দুই নম্বর কালীঘাট রোডের এক বন্ধুর বাড়িতে যায়। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্কুলের ছাত্র খাগরাবাড়ি ও ম্যাগাজিন রোড এলাকার দুই সহপাঠী। তিন জনে একসঙ্গে কালীঘাট রোডের একটি পুকুরে যায়। পরে পুকুর থেকে ধ্রুবকে উদ্ধার করেন বাসিন্দারা। জেলা হাসপাতালে ও পরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রাতে ধ্রুবর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ধ্রুবর পিঠে আঘাতের চিহ্নও ছিল। ছাত্র পরিষদ নেতা রাকেশ চৌধুরী বলেন, “ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। কী ভাবে ধ্রুবজ্যোতির মৃত্যু হল,স্পষ্ট করে পুলিশকে জানাতে হবে। নইলে লাগাতর আন্দোলনে করা হবে।” আর জেনকিন্স স্কুল অভিভাবক কমিটির মুখপাত্র নেপাল মিত্র বলেন, “আমরাও ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই। প্রকৃত সত্যটা সামনে আসা দরকার।” |