| ‘সিঙ্গিং-বার’ চালু করার বিরোধিতায় আন্দোলন দানা বাঁধছে জলপাইগুড়িতে। আবগারি দফতর সূত্রের খবর, শহরের কদমতলায় একটি সিঙ্গিং-বার রয়েছে। সম্প্রতি ডিবিসি রোড ও থানা রোডের সংযোগস্থলে আরেকটি ‘সিঙ্গিং-বার’ চালুর প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। নাগরিকদের সংগঠন, ডানপন্থী একটি ইউনিয়নের তরফে ওই এলাকায় ‘সিঙ্গিং-বার’ চালুর অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে দাবি তোলা হয়েছে। আবেদনকারী পানশালা কর্তৃপক্ষের দাবি, বিভিন্ন মহল থেকে যে প্রতিবাদ হচ্ছে, তার আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থ থাকতে পারে। জলপাইগুড়ির জেলা আবগারির দফতরের সুপার দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, “ডিবিসি রোডের হোটেলেট পানশালা রয়েছে। সেখানে একটি সিঙ্গিং বার চালু করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আমরা সব কিছু যাচাই করে দেখছি। তবে এ বিষয়ে কয়েকটি আপত্তি জমা পড়ায়, সেগুলি খতিয়ে দেখে তদন্ত করার কাজ চলছে। সম্প্রতি শহরের জয়ন্তীপাড়ায় একটি মদের দোকানের বার লাইসেন্স দিয়েছে আবগারি দফতর। তার প্রতিবাদে এলাকার বাসিন্দারা নাগরিক কমিটি তৈরি করে প্রতিবাদে নেমেছেন। ‘সিঙ্গিং বার’-এর অনুমতি না-দেওয়া হয়, সে জন্য নানা সংগঠনের তরফে জেলা প্রশাসনে নানা মহলে দাবি জানানো হয়েছে। আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি, ওই হোটেলের পিছনেই একটি আবাসন রয়েছে। হোটেল ও আবাসনে ঢুকতে হলে একই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। হোটেলে ‘সিঙ্গিং বার’ চালু হলে আবাসিকদের সমস্যা হবে কি না সেটা মাথায় রাখা দরকার। হোটেলের নিচতলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে। তা নিয়েও আবগারি দফতরকে চিন্তাভাবনা করার অনুরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। হোটেলের পাশেই রয়েছে তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মীদের সংগঠন (ইউনিফায়েড)-এর অফিস। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “হোটেলে সিঙ্গিং বার খোলা হলে সামগ্রিক ভাবে আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আবাসিকদের দৈনন্দিন যাপনে সমস্যা হতে পারে।” জলপাইগুড়ি সিটিজেন কমিটির তরফে জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারী হোটেলের কর্ণধার অজিত সরকার বলেন, “আইন মেনে আবেদন করা হয়েছে। প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মহল থেকে স্বার্থের কারণে বিভিন্ন সংগঠনকে দিয়ে আপত্তি জানানো হচ্ছে। শহরে আরেকটি খুললে আপত্তি হওয়ার কথা নয়।” |
