ধৃত ‘মাওবাদী’
নিজস্ব সংবাদদাতা • বারিকুল |
দুই সিপিএম নেতা ও এক তৃণমূল কর্মী খুন-সহ একাধিক নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে বারিকুল থেকে এক ‘মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত কান্তিরাম ওরফে অজয় মুর্মুর বাড়ি বারিকুল থানার লাদনা গ্রামে। বুধবার ভোরে সুতান-গোলমড়ি সংলগ্ন জঙ্গল থেকে তাঁকে ধরা হয় বলে পুলিশের দাবি। এ দিন ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, “কান্তিরাম মাওবাদীদের রানিবাঁধ স্কোয়াডের সদস্য। বেশ কয়েকটি খুনে জড়িত।” পুলিশের দাবি, ২০০৯ সালে কান্তিরাম মাওবাদীদের সঙ্গে যোগ দেন। ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল রানিবাঁধের মিঠাআম গ্রামের বাসিন্দা, তৃণমূল কর্মী স্বপন সিংহ সর্দারকে গ্রামেরই একটি চায়ের দোকানে গুলি করে মাওবাদীরা খুন করে। সেই বছরের ২৪ এপ্রিল জামগেড়িয়ার বাসিন্দা, সিপিএম নেতা পরমেশ্বর মুর্র্মুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। ২০১১ সালের ৩০ জানুয়ারি বারিকুলের সুতানের বাসিন্দা, সিপিএম নেতা পরমেশ্বর মাণ্ডিকে খুন করে মাওবাদীরা। তিনটি ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত কান্তিরাম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাড়িছাড়া ছিলেন।
|
ভাতার দাবিতে স্কুলে তালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • জয়পুর |
বিড়ি শ্রমিকদের স্কুলপড়ুয়া সন্তানদের প্রাপ্য ভাতা, পড়ুয়াদের বইপত্র ও পোশাক কেনার ভাতার দাবিতে পুরুলিয়ার জয়পুর আর বি বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তালাবন্ধ করে রেখে বুধবার বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। এর জেরে স্কুলে পঠন-পাঠন ব্যহত হয়। দ্বাদশ শ্রেণির দলিত কুমার, তাপস কুমার, অতুল কুমারদের অভিযোগ, “বিড়ি শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য, বইপত্র ও পোশাক কেনার ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু প্রধান শিক্ষককে বার বার বলেও ভাতা পাচ্ছি না।” প্রধান শিক্ষক সুরেশ কুমার বলেন, “বিড়ি শ্রমিকদের সন্তানদের প্রাপ্য ভাতা চলতি বছরে কিছু বাকি পড়েছে। বর্তমানে স্কুলে পরিচালন সমিতি নেই। কিছু দিন হল প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে।” তাঁর দাবি, এতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি নেই। জয়পুরের বিডিও মেঘনা পাল বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। পড়ুয়াদের সমস্যা কী ভাবে সমাধান করা যায়, দেখা হচ্ছে।”
|
জল ছাড়ায় ডুবল কজওয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া |
কংসাবতী জলাধারের জলধারণ ক্ষমতা বিপদ সীমার উপরে থাকায় জল ছাড়া শুরু করেছে কংসাবতী সেচ দফতর। এরফলে বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের কিছু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। কংসাবতী সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ কুমার বলেন, “কংসাবতী জলাধারে সর্বোচ্চ জলধারণ ক্ষমতা সাড়ে ৪৪১ ফুট। দিন কয়েক আগে টানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে জলাধারে প্রায় ৪৩৪ ফুট জল মজুত রয়েছে (বিপদসীমা ৪৩৪ ফুট)। তাই এ দিনও ১০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে।” প্রসঙ্গত সোমবার থেকেই ওই জলাধারে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। এ দিকে, কংসাবতীর ছাড়া জলে রানিবাঁধের আকখুটা মোড়ের কাছে কেচোন্দা ঘাটে কজওয়ের উপর দিয়ে জল বইছে। ফলে খাতড়া-রানিবাঁধ রাস্তায় যান চলাচল সোমবার দুপুর থেকেই বন্ধ। ফলে, খাতড়া থেকে মুকুটমনিপুর, অম্বিকানগর হয়ে ঘুরপথে বাস, ট্রেকার চলাচল করছে। |