বিয়ের ৬ মাস পর শ্বশুরবাড়িতে প্রথম বৌ এসেছে। পড়শিরা এসে আলাপ-পরিচয় করে যাচ্ছেন। কিন্তু বাড়ি ঘিরে রেখেছে অত্যাধুনীক আগ্নেয়াস্ত্রধারী পুলিশ-কম্যান্ডোরা। এ যে সে বৌমা নয়। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী নেত্রী সুচিত্রা মাহাতো। বুধবার কোতুলপুর থানার রানাহাট গ্রামে সুচিত্রার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে এ দৃশ্যই দেখা গেল। আত্মীয়-পরিজনেরা বাড়ি ঢুকে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেও, সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। সুচিত্রার স্বামী তৃণমূলের কোতুলপুর ব্লক সভাপতি প্রবীর গড়াই বলেন, “সুচিত্রার সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের কথা বলায় প্রশাসনের মানা রয়েছে। আমাকে এমনটাই জানানো হয়েছে। কেন এই নিষেধাজ্ঞা জানি না।” পরে তাঁর কথামতো গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রবীরের বাবা কালীপদ গড়াই। |
কড়া পাহারায়। বুধবার শুভ্র মিত্রের তোলা ছবি। |
তিনি বলেন, “সোমবার বেশি রাতে বৌমা প্রবীরের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছে। ওর শরীরটাও ভাল নয়। খাওয়া-দাওয়াও কম করছে। অনেকদিন ধরেই বৌমাকে দেখতে চাইছিলাম। আমাদের না জানিয়েই হঠাৎ করে বৌমাকে নিয়ে আসা হয়। বড়দের সুচিত্রা প্রণাম করেছে। বেশ মিশুকে।” তিনি জানান, দু’এক দিনের মধ্যেই সুচিত্রা কলকাতায় ফিরে যাবেন। ফেরার পথে তিনি জয়রামবাটিতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র, প্রবীরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী পূর্ণিমার ছেলে বিপ্লবকে দেখে যাবেন। পড়শিরা জানান, সুচিত্রার সঙ্গে আসা সশস্ত্র পুলিশ দিন-রাত ওদের অ্যাসবেসটসের ছাউনির মাটির ঘর ঘিরে রেখেছে। রয়েছে সাদাপোশাকের পুলিশও। সুচিত্রার দেওর ঝন্টু গড়াই বলেন, “বৌদি সবার সঙ্গে প্রাণখুলে গল্প করছে।” পড়শি মিন্টু সাঁতরা, সুমন্ত পালরা বলেন, “বৌদি যে এক সময় দুর্দান্ত মাওবাদী নেত্রী ছিলেন, দেখে বোঝা যায় না।” |