বছর দুয়েক ধরে নিয়মিত বার্ধক্য ভাতা পেয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি তাঁর পরিবর্তে অন্য একজনকে বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলে আনতে বলেন। এখানেই দেখা দেয় বিপত্তি। ডাকঘর থেকে ওই ব্যক্তিকে বলা হয়, যাঁর হয়ে তিনি টাকা নিতে এসেছেন সেই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। তাই তাঁকে আর টাকা দেওয়া যাবে না। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার পাঠানখালি অঞ্চলের ৭ নম্বর জেলেপাড়ায়। গোসাবার বিডিও বিশ্বজিৎ পাণ্ডা বলেন, “এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে ওই ব্যক্তির টাকা পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, গোসাবার ৭ নম্বর জেলেপাড়ার বাসিন্দা ৬ বছরের গোপাল দাস ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পাঠানখালি গ্রামীণ ডাকঘরে ১০০ টাকা দিয়ে পাশবই করেন। অ্যাকাউন্ট নম্বর ‘SB-1601153’। সেই থেকে তিনি নিয়মিত প্রতি মাসে ৪০০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা পেয়ে আসছিলেন। গোপালবাবুর কথায়, “গত ২৯ অগস্ট অসুস্থ থাকায় আমি টাকা তোলার ফর্মে সই করে তা গ্রামের একজনকে দিয়ে ডাকঘর থেকে টাকা তুলে আনতে বলি। কিন্তু ডাকঘর থেকে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, টাকা হবে না। কারণ, আমি নাকি মারা গেছি। এর পরে আমি ডাকঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বলা হয়, আমরা কিছু বলতে পারব না। আপনি ব্লকে গিয়ে যোগাযোগ করুন। বিডিও অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারি, পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাঁর রিপোর্টে আমাকে ‘মৃত’ বলে দেখিয়েছেন।”
বিডিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা বার্ধক্য ভাতা পান তাঁরা বেঁচে আছেন, না মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে প্রতি বছর স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যদের থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট নেওয়া হয়। তার পর সরেজমিন সব কিছু খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ বছরও সেই তালিকা তৈরি করার সময় গত মে মাসে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান মৃত বেনিফিশিয়ারিদের যে তালিকা জমা দেন তাতে গোপাল দাসের নাম ছিল। সেই কারণে এই বিভ্রান্তি ঘটেছে।
পাঠানখালি পঞ্চায়েতের আরএসপি প্রধান সুরঞ্জন খাঁড়া বলেন, “এটা কী ভাবে হল বুঝতে পারছি না। অনেক সময় পঞ্চায়েত সদস্যদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা সম্ভব হয় না। বহু সময়েই বিপিএল তালিকা দেখে নামের তালিকা তৈরি করা হয়। যেখানে বেনিফিশিয়ারিদের নামের পাশে অভিভাবকদের নাম থাকে না। এর ফলে অনেক সময় বুঝতে অসুবিধা হয়। তবে অবিলম্বে এই ত্রুটি সংশোধন করা হবে।” ধৃত ৩। বাবা-ছেলে-সহ তিন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সুনীল মালাকার এবং অভিজিৎ মালাকারের বাড়ি হাবরার আশুতোষ কলোনিতে। ধৃতদের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। |