|
|
|
|
প্রশান্ত এ বার জেল হেফাজতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের ভাই প্রশান্ত ঘোষকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল মেদিনীপুর সিজেএম আদালত। সিআইডি হেফাজতের মেয়াদ ফুরনোর একদিন আগে, বুধবার দুপুরে প্রশান্তবাবুকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। ফের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম কল্লোল দাস। গত শুক্রবার পুরীর একটি হোটেল থেকে প্রশান্তবাবুকে গ্রেফতার করে ওড়িশা পুলিশ। প্রায় এক বছর তিনি ‘পলাতক’ ছিলেন। শনিবার পুরী আদালতে তাঁকে হাজির করে সিআইডি’র পক্ষ থেকে ‘ট্রানজিট রিমান্ড’ চেয়ে আবেদন করা হয়। |
|
মেদিনীপুর আদালতে প্রশান্ত ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র। |
৩ দিনের জন্য ওই আবেদন মঞ্জুরও হয়। রবিবার সকালে ট্রেনে তাঁকে খড়্গপুরে নিয়ে আসা হয়। সিআইডি সূত্রের দাবি, পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন বুঝে পালাতে চেয়েছিলেন প্রশান্তবাবু। হোটেলের ছাদে উঠে পড়েছিলেন। তখনই তিনি পায়ের গোড়ালিতে চোট পান। রবিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে ৫ দিন সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সেই মতো, আজ, বৃহস্পতিবার ফের প্রশান্তবাবুকে আদালতে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু, এক দিন আগেই বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করে সিআইডি। সিআইডি’র দাবি, ধৃতের কাছে যা যা জানার ছিল, তা জানা হয়ে গিয়েছে। এ দিন আদালতে প্রশান্তবাবুর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী বিশ্বনাথ ঘোষ। সরকারি আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিব এই আবেদনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে ধৃতকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন সিজেএম। পাশাপাশি, প্রশান্তবাবুর যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হয়, মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে সেই নির্দেশও দিয়েছেন সিজেএম। |
|
|
|
|
|