|
|
|
|
আজ থেকে শুরু কর্মসূচি |
জঙ্গলমহলে সেই শুভেন্দুই ‘ভরসা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অধিকারীর উপরই ‘আস্থা’ রাখছে তৃণমূল। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে জঙ্গলমহলে ধারাবাহিক ‘রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি’ শুরু করছেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা দলীয় সাংসদ শুভেন্দু। লক্ষ্যণীয়, জঙ্গলমহলে শুভেন্দুর রাজনৈতিক সভাগুলিতে পালা করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকেরই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যাঁরা আদপে শুভেন্দু-বিরোধী হিসেবেই পরিচিত।
তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, জঙ্গলমহলে শুভেন্দুকে ব্রাত্য করে রাখার বিষয়টি নিচু তলার কর্মী-সমর্থকেরা ভাল চোখে নিচ্ছিলেন না। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় ঐক্যের বার্তা দিতে শুভেন্দুকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতোর বক্তব্য, “ওই কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে। আমি যাব।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে জামবনির ব্লক-সদর গিধনিতে যুব তৃণমূলের ‘রাজনৈতিক সভার’ মূল বক্তা হিসেবে থাকছেন শুভেন্দু। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রামের সাপধরা অঞ্চলে দলীয় নেতা লালমোহন মাহাতোর মৃত্যুর বর্ষপূর্তিতে যুব তৃণমূল আয়েজিত স্মরণ-সভায় মূল বক্তা হিসেবে থাকবেন শুভেন্দু। এছাড়া আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বিনপুরে দহিজুড়িতে শুভেন্দুর উপস্থিতিতে যুব তৃণমূলের উদ্যোগে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতা বাবু বসুর স্মরণসভাও করা হবে। মাওবাদী হানায় গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রামের সাপধরা অঞ্চলের পুকুরিয়ায় নিহত হন তৃণমূলের সাপধরা অঞ্চল সভাপতি লালমোহন মাহাতো ও ২৫ সেপ্টেম্বর বিনপুরের দহিজুড়িতে নিহত হন ঝাড়খণ্ডী নেতা বাবু বসু। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বেলপাহাড়িতে আদিবাসীদের ‘করম পরব’ উপলক্ষেও একটি সভা করবেন শুভেন্দু।
৮ অগস্ট বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক জনসভা মঞ্চে শুভেন্দুকে দেখা যায়নি। শুভেন্দু নিজেই জানিয়েছিলেন, ওই সভায় তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন না। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ৯ অগস্ট ঝাড়গ্রাম শহরে একটি ‘অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে’ যোগ দিতে আসেন শুভেন্দু। ইতিমধ্যে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ দেবাশিস চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে যুব সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়। মুকুল রায়ের অনুগামীরা জেলায় দলের পুরোভাগে আসায় ও গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পাওয়ায় এবং গত এক মাসে শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন নেতার ডানাছাঁটা হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়। অথচ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘নন্দীগ্রামের নায়ক’-এর উপরই আস্থা রেখেছিলেন মমতা। দলের একটি অংশের দাবি, বিধানসভা ভোটের ফলাফলে জঙ্গলমহলে দলের উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছিল শুভেন্দুর হাত ধরেই। কিন্তু তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরে ‘জঙ্গলমহলের তরুণ তুর্কি নায়ক’ই কার্যত ব্রাত্য থেকেছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। সেই ক্ষোভে রাশ টানতে এবার জঙ্গলমহলের মাঠে শুভেন্দুকেই নামানো হচ্ছে। |
|
|
|
|
|