|
|
|
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
শিক্ষক সংগঠনে জয়ে ফিরল বামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক বছরেই কাটল ‘পরিবর্তনে’র রেশ! বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সংগঠন ‘ভুটা’র (বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাচনে জয়ী হলেন বাম সমর্থিত প্রার্থীরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে ‘ভুটা’ ছিল বামেদেরই দখলে। তবে গত বছর ‘পরিবর্তনে’র ঝড়ে ভুটার দখল নেয় তৃণমূল শিক্ষা সেল ও অ-বাম শিক্ষকদের জোট। বছর ঘুরতেই ফের ক্ষমতায় ফিরল বামেরা।
মূলত গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই অ-বাম জোট পরাজিত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। ভুটার নব-নির্বাচিত সভাপতি অম্বরীশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষকেরা চান এমন একটি কমিটি হোক, যা স্থায়ী হবে। কিন্তু গত বার যাঁরা সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে বিবাদেই ব্যস্ত ছিলেন। ফলে শিক্ষা বা শিক্ষকের স্বার্থে তেমন কোনও কাজ করতে উঠতে পারেননি। তাই সকলে আমাদেরই বেছে নিয়েছেন।” পরাজিত প্যানেলের সভাপতি-পদপ্রার্থী অরিন্দম গুপ্তের অবশ্য বক্তব্য, “নির্বাচনে তো হার-জিত রয়েছেই। পরে এ বিষয়ে সকলে আলোচনার পরেই প্রকৃত ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে।”
ভুটা-র নির্বাচনে এ বারের ফলাফল গত বারের একেবারে বিপরীত! মঙ্গলবার নির্বাচনের পরে দেখা যায় পদাধিকারী পাঁচটি পদের একটিতেও জয়লাভ করতে পারেনি তৃণমূল শিক্ষা সেল ও অ-বাম জোট। সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন অম্বরীশ মুখোপাধ্যায়, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দুর্গাশঙ্কর রথ ও সুজাতা মাইতি। আর এগ্জিকিউটিভ কমিটির ৮টি আসনের মধ্যে ৫টিতে জিতেছেন বাম সমর্থিতরা। তৃণমূল শিক্ষা সেল ও অবাম শিক্ষকদের জোট ভুটার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুরু হয়েছিল গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক বিরোধটি বাধে মন্ত্রী তথা পিংলা কলেজের শিক্ষক সৌমেন মহাপাত্রের প্রস্তাবিত প্যানেল নিয়ে। গত বার ভুটা’র যুগ্ম সম্পাদক (অর্গানাইজেশন) পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল শিক্ষা সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্দ্রাণী দত্ত চৌধুরী। এ বার নির্বাচনের আগে থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। ইন্দ্রাণীদেবী বলেন, “আগে ভুটা-র প্যানেল সিপিএম পার্টি অফিসে তৈরি করা হত। আমি তার প্রতিবাদ করতাম। এখন দেখছি, সিপিএমের মতোই তৃণমূলও ‘ভুটা’য় হস্তক্ষেপ করছে। এই ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আমার পছন্দ নয়। তাই আমি সরে গিয়েছি।” কোনও প্যানেলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে মানতে নারাজ সৌমেনবাবু। তবে তাঁর মতে, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু দিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উল্টে সিপিএম থেকে আসা লোকজনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতেই এ বারের ভোটে ভরাডুবি হয়েছে।” |
|
|
|
|
|