|
|
|
|
স্কুলভোট ঘিরে অশান্ত নন্দীগ্রাম |
কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
স্কুল নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল নন্দীগ্রাম। দুই জোট শরিকের কাজিয়ায় থানার সামনেই ‘আক্রান্ত’ হলেন ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’র প্রথম সারির নেতা তথা কংগ্রেসের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সবুজ প্রধান-সহ দলের বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মী। আহত সবুজবাবুকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শেখ আসরাফুলতুল্লা, মুকলেসুর রহমান-সহ আরও ৫ জনের চিকিৎসা চলছে নন্দীগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘নন্দীগ্রাম চলো’র ডাক দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। এ দিন কলকাতায় যুব-কংগ্রেসের পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে প্রদীপবাবু বলেন, “নন্দীগ্রামে যে শুধু তৃণমূল কৃষক স্বার্থে আন্দোলন করেছিল তা নয়। সেই সময় প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির নেতৃত্বে কংগ্রেসও আন্দোলন করে। আর এখন নন্দীগ্রামে স্কুল পরিচালন সমিতির ভোটে কংগ্রেসকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।” নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ান অবশ্য হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ মিথ্যা। তাঁদের কেউ মনোনয়নপত্র তুলতেই যাননি।”
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রামের দাউদপুর শিক্ষাসদনে পরিচালন সমিতিতে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন। এ নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূলের গোলমালের সূত্রপাত হয় বেশ কিছু দিন আগেই। |
|
হাসপাতালে সবুজ প্রধান। —নিজস্ব চিত্র |
ওই নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়ার ‘অপরাধে’ গত ৫ সেপ্টেম্বর যুব কংগ্রেসের দাউদপুর অঞ্চল সভাপতি রবিউল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়ার দিন। এ দিন তারই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র তুলতে যাওয়ার পথে তাঁদের উপর আক্রমণ চালায় তৃণমূল কর্মীরা। পরে হামলা চলে সবুজবাবুর উপরে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসিত পাল বলেন, “স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদিকা কবিতা রহমান-সহ জেলা নেতৃত্ব এ দিন নন্দীগ্রামে দলীয় অফিসে উপস্থিত ছিলেন। সকালে ১১টা নাগাদ সেখান থেকেই সকলে দাউদপুর হাইস্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় হেদুয়াপুকুর মোড়ে তৃণমূলের লোকজন আমাদের নেতা-কর্মীদের মারধর করে।” অসিতবাবুর কথায়, “নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে থানা চত্বরেও তৃণমূলের লোকজনের স্লোগান ও হুমকির জেরে পরিস্থিতি এমন হয় যে, লিখিত অভিযোগ না জানিয়েই ফিরে আসতে হয়। আমরা থানা থেকে বেরিয়ে আসার পরেই সবুজবাবুকে মারধর করে তৃণমূল সমর্থকেরা।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|