টোলগে ওজবের জায়গায় তাঁকে লাল-হলুদ জার্সিতে চেয়েছিলেন ট্রেভর মর্গ্যান। বারকয়েক ফোনে কথাও বলেছিলেন নিউজিল্যান্ড স্ট্রাইকারের সঙ্গে।
কিন্তু টাকার অভাবে চতুর্থ বিদেশি নেওয়া এখনই সম্ভব নয় কোচকে জানান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। মর্গ্যানও আর এগোননি।
এডে চিডির সঙ্গে নয়, শেষ পর্যন্ত র্যান্টি মার্টিন্সের সঙ্গে জুটি বাঁধতে আসছেন কেন ভিনসেন্ট। প্রয়াগ ইউনাইটেডের শক্তি আরও বাড়াতে শনিবার শহরে পৌঁছচ্ছেন তিনি। ভিসা নিয়ে বৃহস্পতিবারই বিমানে ওঠার কথা। নিউজিল্যান্ডে বুধবার রাতে ফোনে ধরা হলে ভিনসেন্ট বললেন, “র্যান্টি ভারতের সেরা স্ট্রাইকার। ওর সঙ্গে জুটি বাঁধতে পারব ভেবে এত দূরে বসেও উত্তেজিত লাগছে। প্রয়াগকে ফেড কাপ চ্যাম্পিয়ন করাই আমার এই মুহূর্তের লক্ষ্য।” |
গত মরসুমে আই লিগে |
|
|
ডেম্পোর জার্সিতে র্যান্টি মার্টিন্স
গোল-৩২, আই লিগের
সেরা ফুটবলার। |
প্রয়াগের জার্সিতে ভিনসেন্ট
গোল-৮, বেশির ভাগ ম্যাচেই
প্রথম থেকে খেলেননি। |
|
প্রত্যুত্তরে কী বলছেন গত দু’বারের আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা? “আমার সঙ্গে ভিনসেন্টের জুটিটা আশা করি ভালই জমবে। আমাদের একজন ভাল চতুর্থ বিদেশি ফুটবলার দরকার ছিল। ফেড কাপের আগে ভিনসেন্টকে পেয়ে যাওয়ায় আমাদের শক্তি বাড়বেই।” বুধবার কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলে নিজের ফ্ল্যাটে ফেরার পথে বলছিলেন র্যান্টি। প্রয়াগের জার্সিতে তিন ম্যাচে পাঁচ গোল (বুধবারও গোল করেছেন) করে ফেলা নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকারের আরও মন্তব্য, “আমার আর ভিনসেন্টের পিছনে কার্লোসের মতো বিশ্বকাপার থাকছে, সেটাও মনে রাখতে হবে। তবে কোচ আমাদের তিনজনকে যে ভাবে ব্যবহার করবেন সে ভাবেই খেলব।”
টোলগের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব ভিনসেন্টের। ‘বন্ধু’ এ বারও প্রয়াগ ইউনাইটেডে খেলতেই ভারতের ফিরছেন, টোলগে এ দিনই জেনেছেন র্যান্টির থেকে। “আমার আর ওডাফার সঙ্গে র্যান্টি-ভিনসেন্ট, ওদের লড়াইটা কী রকম জমবে বলুন? ভিনসেন্ট কিন্তু গত মরসুমে খুব ভাল-ভাল গোল করেছিল। দেখা যাক, এ বার কারা জেতে?” ভূস্বর্গ থেকে এ দিন রাতে মোহনবাগান দলের সঙ্গে শহরে ফেরা টোলগে হাসতে হাসতে চ্যালেঞ্জটা নিয়েই ফেললেন মনে হল।
প্রয়াগ কর্তারা ঠিক করেছিলেন ফেড কাপে চতুর্থ বিদেশি নিয়ে নামবেন। এখন এক অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার ট্রায়াল দিচ্ছেন কোচ সঞ্জয় সেনের কাছে। এক জাপানি ফুটবলারেরও আসার কথা ছিল দু’একদিনের মধ্যে। কিন্তু ভিনসেন্টকে পাওয়ায় এশীয় কোটায় আর কাউকে নেওয়ার কথা ভাবতে নারাজ প্রয়াগ। সুযোগ পাওয়ামাত্র ভিসেন্টের চুক্তি করে ফেলেছেন কর্তারা।
গত বছর প্রয়াগের হয়ে প্রচুর গোল করা ভিনসেন্ট এ বার চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। ভিক্টোরিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অপেশাদার ক্লাব মেলবোর্ন নাইটস এফসি-তে খেলতে। সেখানে চার ম্যাচে তিন গোল করেছেন। ফোনে বললেন, “দশ দিন আগে শেষ ম্যাচ খেলেছি। আমার গোলেই সেই ম্যাচ জিতেছে মেলবোর্ন। ভারতে আসছি র্যান্টির সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলার সুযোগ পাব বলেই। ওর পাশে আমার বহু দিন ধরেই খেলার ইচ্ছে ছিল। সেটা পূর্ণ হতে যাচ্ছে ভেবে দারুণ লাগছে।”
র্যান্টির গোলের ঝড় শুরু হতেই ময়দান তোলপাড়। ভিনসেন্ট আসার পর সেটা সুনামি হয়ে ওঠে কি না সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে ওডাফা-টোলগে জুটির প্রতিদ্বন্দ্বী যে ময়দানে এসে গেল, বলাই যায়। |