আই লিগ পিছোনোর আর্জি মোহনবাগানের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আই লিগের সূচি ক্লাবগুলোর কাছে পৌঁছনোর পরেই মোহনবাগান এক মাস লিগ পিছোনোর আবেদন করল। কারণ, সেই যুবভারতীর ফ্লাডলাইট। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র আশ্বাস দিয়েছেন, যুবভারতীর আলো ঠিক হয়ে যাবে ডিসেম্বরে। মোহনবাগানের যুক্তি, রাতে ম্যাচ বেশি হলে মাঠে দর্শক আসবেও বেশি। মোহনবাগান অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “অক্টোবরের বদলে আই লিগ এক মাস পিছিয়ে গেলে আরও বেশি ম্যাচ রাতে হবে। তাতে মাঠেও দর্শক বাড়বে। টিভিরও টিআরপি বাড়বে।” কিছু দিন আগে কলকাতার আই লিগের চারটি ক্লাব--মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, প্রয়াগ ইউনাইটেড ও পৈলান অ্যারোজের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মদন মিত্র। সেখানে ফেডারেশনের তরফে হাজির ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত এবং আই লিগ সিইও সুনন্দ ধর। সেখানেও এই ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। তবে বুধবার ফেডারেশনের আই লিগ কমিটির এক কর্তা জানান, লিগ এক মাস পিছোলে শেষ হতে জুন মাস হয়ে যাবে। যেটা তাঁরা চাইছেন না। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ১৮ সেপ্টেম্বর কমিটির সভায়। এ দিকে মঙ্গলবার আইএফএ ইস্টবেঙ্গল-বিএনআর ম্যাচের রিপ্লের কথা বললেও সেই চিঠি বুধবারও এসে পৌঁছল না লাল-হলুদ তাঁবুতে। অন্যতম কর্তা দেবব্রত সরকার জানান, আইএফএ-র চিঠি হাতে পেলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
|
গিরিশাকে শুভেচ্ছা তেন্ডুলকরের
সংবাদসংস্থা • বেঙ্গালুরু |
সাফল্যের স্বীকৃতি। লন্ডনে অনুষ্ঠিত সদ্যসমাপ্ত প্যারালিম্পিকে দেশের একমাত্র পদকজয়ী গিরিশা নাগরাজে গৌড়াকে ফোনে শুভেচ্ছা জানালেন সচিন তেন্ডুলকর। শুধু তাই নয়, ফোনে গিরিশাকে ‘দেশের বহু মানুষের অনুপ্রেরণা’ বলে উল্লেখ করেন মাস্টার ব্লাস্টার। স্বপ্নের নায়কের কাছ থেকে এই শংসাপত্র পাওয়ার পর স্বভাবতই খুশির স্বর্গে প্যারালিম্পিকে রুপোজয়ী হাইজাম্পার। দেশের মাটিতে পা দিয়েই গিরিশার প্রতিক্রিয়া, “স্বপ্নের নায়ক সচিন আমাকে ফোন করেছেন। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে।” বুধবারই লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন গিরিশা। বিমানবন্দর থেকেই গিয়েছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তারের বাড়ি। সেখানেই সাংবাদিকদের সচিনের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার ঘটনা জানান। তাঁর কথায়, “মঙ্গলবার বিকেলে সচিনের ফোন পাওয়ার পর প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি ভবিষ্যতে আরও ভাল পারফর্ম করার জন্য আমাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।” সচিন ছাড়াও সাইনা নেহওয়ালের কাছ থেকেও দু’লক্ষ টাকা সমেত শুভেচ্ছা ফোন পেয়েছেন সুশীলকুমারের ভক্ত গিরিশা।
|
কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের ৬ গোল |
ফেড কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে বুধবার কালীঘাট মিলন সংঘ ৬-০ গোলে হারাল রয়্যাল ওয়াহিংডোকে। চার গোল ক্রিস্টোফারের। বাকি দু’টি গোল তন্ময় কুণ্ডু এবং জেমসের। জামশেদপুরে শুরু থেকেই মেঘালয়ের দলটির বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে খেলতে শুরু করে কলকাতার দলটি। খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ক্রিস্টোফার এবং জেমসের গোলে এগিয়ে যায় অরুণ ঘোষের ছেলেরা। বিরতির সময় তিন গোলে এগিয়ে ছিল কালীঘাট মিলন সংঘ। শুক্রবার তাদের প্রতিপক্ষ ভাস্কো। অন্য গ্রুপে মহমেডানের পরের ম্যাচ শনিবার হ্যালের বিরুদ্ধে। কোচ অলোক মুখোপাধ্যায় জ্বর ও পেটখারাপে কাবু। প্রতিপক্ষ হ্যালের গত মরসুমে আই লিগ থেকে অবনমন হয়েছে। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার হ্যাল-আইজল এফসি ম্যাচ দেখতে মাঠে যাবেন মহামেডান কোচ। অলোকের কথায়, “আই লিগে হ্যালের অবনমন হলেও এই মরসুমের দলে বেশ কয়েকজন নতুন ছেলে রয়েছে। হাল্কা ভাবে নেওয়ার প্রশ্নই নেই।” কোচ অসুস্থ হলেও প্রথম ম্যাচ বড় ব্যবধানে জেতায় চনমনে মেজাজে রয়েছেন অসীম-অ্যালফ্রেডরা। কলকাতার দু’দলই পরের ম্যাচ জিতলে ফেডারেশন কাপের মূলপর্বে চলে যাবে। |