২০১৪ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচে মেসি আটকাতেই আর্জেম্তিনা আটকে গেল। দেশের জার্সিতে শেষ ছয় ম্যাচে ১০ গোল করেছিলেন মেসি। কিন্তু গত রাতে লাতিন আমেরিকান গ্রুপে পেরুর মাঝমাঠের কড়া মার্কিং আর খেলার শুরুর দিকে পরপর কয়েকটা ফাউলের সামনে পড়ে মেসি অনেক দিন পর নিজের বিখ্যাত ‘টাচ’ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর দলও ১-১ ড্র করে। আজেন্তিনা হয়তো হেরেই যেত, যদি না ম্যাচের গোড়ার দিকে তাদের গোলকিপার সের্জিও রোমেরো পেরুর ক্লদিও পিজারোর পেনাল্টি বাঁচাতেন। তার পরেও জামব্রানোর গোলে পেরুই প্রথমে এগিয়ে যায়। ইগুয়াইন সমতা ফেরালেও মেসিদের ভাগ্য ভাল যে, পেরু দ্বিতীয় গোল পায়নি কপাল খারাপ থাকায়। তাদের লুইস রামিরেজের শট দ্বিতীয়ার্ধে পোস্টে লাগে। লিমায় অ্যাওয়ে ম্যাচের মাঠের সমালোচনা করে মেসি বলেছেন, “মাঠের সারফেসের সাহায্য পাইনি আমরা। ঠিক মতো বল কন্ট্রোলের জন্য আরও একটা-দুটো টাচের দরকার হয়। মাঠের জন্য সেটা করা যায়নি। আমরা এখানে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারিনি” আর্জেন্তিনা (১৪ পয়েন্ট) এখনও ন’দেশের গ্রুপে শীর্ষে থাকলেও মেসিদের সঙ্গে পরের পাঁচ দেশের মাত্র তিন পয়েন্টের তফাত থাকায় লড়াই জমে উঠেছে। অন্য ম্যাচে চিলিকে ৩-১ হারায় কলম্বিয়া। ফোরলানের উরুগুয়ে ফের খারাপ খেলে ১-১ ড্র করে ইকুয়েডরের সঙ্গে। |
লিমায় মেসির হোঁচট। ছবি: এএফপি |
এ দিকে ইউরোপের বিভিন্ন গ্রুপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচে জিতেছে বিশ্ব ও ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন, ইউরো রানার্স ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্সের মতো মেগাটিম। তবে বড় দলের মধ্যে ইংল্যান্ড ড্র করেছে। জিতেছে সুইৎজারল্যান্ড ও নরওয়েও। দেল বস্কির স্পেনের জয় অবশ্য কষ্টার্জিত। জর্জিয়ার বিরুদ্ধে গোল পেতে ৮৬ মিনিট লেগে যায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। বদলি হিসেবে নামার কয়েক মিনিটের মধ্যে সেস ফাব্রেগাস অসাধারণ পাস বাড়ালে তার থেকে সোলদাদো ১-০ করেন। ম্যাচ শেষে ফাব্রেগাসের মুভমেন্ট ও বুদ্ধির প্রশংসা করেন স্পেনের বিশ্বজয়ী কোচ দেল বস্কি। ইতালি আগের ম্যাচে বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে আটকে যাওয়ায় কোচ প্রান্দেলি সেই দলের পাঁচ জনকে পরিবর্তন করে, ৩-৫-২ থেকে ৪-৩-১-২ ফর্মেশনে চলে গিয়ে প্রাক-বিশ্বকাপে জয়ের সরণিতে ফেরেন। মাল্টা-কে আজুরিরা হারায় ২-০। মাত্তিয়া দেশত্রো তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করার পর বিপক্ষের অ্যান্ড্রু কোহেনের আত্মঘাতী গোলে ইতালির ব্যবধান বাড়ে।
জার্মানি ২-১ গোলে অস্ট্রিয়াকে হারিয়েছে। মার্কো রেয়াস দেশের হয়ে টানা তৃতীয় আন্তর্জাতিক গোল পাওয়ার পর মেসুট ওজিল পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান। শেষের দিকে অস্ট্রিয়ার সান্ত্বনা গোল জুনুজোভিচের। দিদিদের দেশঁ-র ফ্রান্সও জিতে চলেছে। গত রাতে রিবেরিরা নিজেদের মাঠে বেলারুসকে ৩-১ হারান। ২০১০ বিশ্বকাপে লরা ব্লাঁ-র ফ্রান্স অপ্রত্যাশিত হেরেছিল যাদের কাছে সেই বেলারুশের সঙ্গে দেশঁর টিম দ্বিতীয়ার্ধে পরপর তিন গোল করে। গোলদাতা কাপউ, জালেত এবং রিবেরি। কিন্তু ইংল্যান্ড ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র তিন মিনিট আগে ল্যাম্পাডের্র পেনাল্টি গোলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কোনওক্রমে ১-১ ড্র করেছে। জেরারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বেরিয়ে যেতে হওয়ায় ইংল্যান্ড অবশ্য দশ জনে খেলেছে। এবং কোনোপ্লিয়ানকার গোলে বেশির ভাগ সময় পিছিয়ে ছিল। রয় হজসনের দলের ঘরের মাঠে প্রথম হার শেষ মুহূর্তে আটকান ল্যাম্পার্ড। |