সচিন তেন্ডুলকর ‘বৃদ্ধ’ হয়েছেন কি না, সেই প্রসঙ্গে সুনীল গাওস্করের পর এ বার মুখ খুললেন ইমরান খানও। সোজাসুজি কিছু না বললেও পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, এ বার সচিনের অবসর নেওয়ার কথা ভাবা উচিত। ইমরান জানিয়েছেন, তিনি সচিনের জায়গায় থাকলে ফর্মের চূড়োয় থেকেই অবসর নিতেন। “সচিন অসাধারণ ক্রিকেটার। কিন্তু আমি এটাই বলব যে, আমি ওর জায়গায় থাকলে ফর্মের তুঙ্গে থাকতে থাকতেই সরে যেতাম। ক্রিকেটার হিসেবে আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল, কোনও দিন যেন নির্বাচকদের দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভর না করতে হয়,” এ দিন এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন ইমরান। তা হলে কি এখন সচিনের সেই অবস্থাই হয়েছে? তাঁকেও কি এ বার নির্বাচকদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে? ইমরান বলছেন, “না, না। কিন্তু সে রকম পরিস্থিতি তৈরি হতে দেওয়ার দরকারই বা কী? সচিনের রেকর্ডগুলো দেখুন। এ রকম একজন ক্রিকেটার কি কখনও চাইবে নির্বাচকদের দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভর করে থাকতে?”
সেরা ফর্মে থাকাকালীন অবসর নিয়েছিলেন বলে গাওস্করকে শ্রদ্ধা করেন ইমরান। তবে সচিনের অবসর নেওয়া যে শুধু ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্ত হবে না, তার সঙ্গে যে জড়িয়ে থাকবে একটা গোটা দেশের আবেগ, সেটাও মানছেন তিনি। “সচিনের সঙ্গে দেশের সবার আবেগ জড়িয়ে আছে। তেইশ বছর ধরে সচিনকে দেখে আসছেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। ওঁরা সচিনকে ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটের কথা ভাবতেই পারেন না,” বলে যোগ করেছেন, “কিন্তু সচিনের দিক দিয়ে দেখতে গেলে কোনও না কোনও সময় তো ওকে এই সিদ্ধান্তটা নিতেই হবে।”
সচিনের হয়ে আবার সওয়াল করেছেন প্রধান নির্বাচক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। তিনি বলেছেন, “সচিন জানে ওকে কবে অবসর নিতে হবে। ও খুব স্পেশ্যাল একজন ক্রিকেটার। সর্বোচ্চ স্তরে যে একশোটা সেঞ্চুরি করেছে, তার ক্ষমতা বিচার করতে বসাটা খুব অন্যায়।” শ্রীকান্ত মনে করছেন, ভারতীয় ক্রিকেটের এখনও সচিনকে দরকার। “জাতীয় দলে সচিনের থাকাটা এখনও জরুরি। ও না থাকলে দেশের মাঠে পরপর দুটো টেস্ট সিরিজে তরুণদের কে শেখাবে? এই গ্রহের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সচিন। ও জানে ও কী করছে।” |