তারকেশ্বর পুর এলাকায় গত শনিবার দু’টি সুউচ্চ জলাধারের উদ্বোধন হয়েছে। পুরসভা চালিত একটি প্যাথলজিক্যাল সেন্টারেরও উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, পর্যটনমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রচপাল সিংহ প্রমুখ।
রাজ্যের পর্যটন দফতরের টাকায় শৈবতীর্থ তারকেশ্বরের প্রবেশদ্বার তৈরি করা হয়েছে বাজিতপুর চৌমাথায়। এ ছাড়াও, রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে স্টেশন থেকে মন্দির এবং লাগোয়া বিভিন্ন জায়গায় শতাধিক বাতিস্তম্ভ লাগানো হয়েছে শহরের সৌন্দর্য্যায়নের লক্ষে। এ দিন প্রবেশদ্বারের উদঘাটন করেন রচপাল সিংহ। নিজের বিধায়ক তহবিলের টাকায় কেনা একটি অ্যাম্বুল্যান্সও এ দিন পুরসভার হাতে তুলে দেন পর্যটনমন্ত্রী। পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত জানান, একটি জলাধার তৈরি হয়েছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপুরে। অন্যটি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাসস্ট্যান্ডের কাছে। |
বৈদ্যপুরে আরও একটির কাজ চলছে। এর ফলে পুরসভা ও লাগোয়া এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবেন। প্যাথলজিক্যাল সেন্টারটি তৈরি হয়েছে নতুন বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ভবনে। সেখানে স্বল্প মূল্যে বিভিন্ন পরীক্ষা করানো যাবে। এর ফলে বিশেষত গরিব মানুষের সুবিধা হবে বলে পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি। তারকেশ্বরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্য রয়েছে। এ নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে বিস্তর। সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে রাজ্য সরকারের সহায়তা চেয়ে ববি হাকিমের কাছে আবেদন জানানো হয় পুরসভার তরফে। মন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেন। মন্ত্রী-বিধায়কদের উপস্থিতিতে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের সূচনার পাশাপাশি এ দিন থেকে পুরসভায় ই-গভর্নেন্স চালু হল। ববি হাকিম বলেন, “রাজ্য সরকারের প্রচুর দেনা রয়েছে। তা সত্ত্বেও ধীরে ধীরে আমরা সব কাজই করব।” |