১৮ হাজার ছাড়াল সেনসেক্স, সামান্য বাড়ল শিল্পোৎপাদন |
নামমাত্র বাড়ল শিল্পোৎপাদন। বৃদ্ধির হার ০.১%। তবে জুলাই মাসের এই যৎসামান্য বৃদ্ধির মধ্যে ক্ষীণ হলেও রুপোলি রেখা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, জুনে শিল্প বৃদ্ধির হার সরাসরি কমে গিয়েছিল ১.৮%। গত বছর একই সময়ে অবশ্য এই হার ছিল ৩.৭%।
তলানি থেকে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোটা অর্থনীতির পক্ষে ভাল লক্ষণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী বুধবার প্রকাশিত এই পরিসংখ্যান অনুসারে শিল্প বৃদ্ধি এতটা নীচে থাকা সত্ত্বেও সেনসেক্স ফের টপকে গিয়েছে ১৮ হাজার। ৭ মাসে এই প্রথম বার। ঝিমিয়ে থাকা শিল্প বৃদ্ধিকে চাঙ্গা করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর পথেই হাঁটবে, এই আশায় ভর করেই এ দিন ১৪৭ পয়েন্ট বেড়েছে সূচক। আগামী সোমবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণনীতি ফিরে দেখবে। ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমানোর দাবি জানিয়েছে শিল্পমহল। অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও এ দিন বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্ণধারদের সঙ্গে বৈঠকে লগ্নিতে উৎসাহ দেওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মূলত কারখানায় পণ্য তৈরি আশানুরূপ না-বাড়ার ফলেই ঢিমেতালে বেড়েছে সার্বিক শিল্পোৎপাদন। জুলাইয়ে তা কমে গিয়েছে ০.২%, এপ্রিল-জুলাইয়ের হিসেব ধরলে ০.৬%। অথচ শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার হিসাবে এই ক্ষেত্রটির গুরুত্বই ৭৫%। এর মধ্যে মূলধনী পণ্য (প্রধানত কারখানায় উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি) উৎপাদন জুলাইয়ে কমেছে ৫%। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ে ১৬.৮%। এপ্রিল-জুলাই, এই চার মাসে শিল্প বৃদ্ধির হার কমেছে ০.১%। গত বছর একই সময়ে তা বেড়েছিল ৬.১%। প্রসঙ্গত, রয়টার্সের এক সমীক্ষায় শিল্পোৎপাদন জুলাইয়ে ০.৩% বাড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। কার্যত তা আরও কমে হল ০.১%।
শিল্প বৃদ্ধির হার নিয়ে উদ্বিগ্ন শিল্পমহল সুদ কমাতে এ দিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে জোরালো সওয়াল করেছে। বণিকসভা সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মূলধনী পণ্য উৎপাদন সঙ্কুচিত হওয়া বিনিয়োগে খরারই ইঙ্গিত। লগ্নিকারীদের আস্থা ফেরাতে তাই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।” রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কমপক্ষে ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমানো উচিত বলে মনে করছে ফিকি। অ্যাসোচ্যামের মতে, শিল্প বৃদ্ধির এই হার অর্থনীতির তলিয়ে যাওয়ারই লক্ষণ। |