থানায় নির্যাতনের নালিশ, আদালত ডাকল ওসি-কে
পুলিশ হেফাজতে বন্দিদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় কাটোয়া থানার ওসি সনৎ দাসকে ডেকে পাঠাল আদালত। মঙ্গলবার কাটোয়ার ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম উদয় রানা এই নির্দেশ দেন। অভিযুক্তদের আইনজীবী অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১৪ দিন পরে, অর্থাৎ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ওসি-কে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মার্চে কাটোয়ার কাছারিপাড়ায় বিজলি দাস নামে এক প্রৌঢ়া খুন হন। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁর দেওর অশোক দাসকে গ্রেফতার করে। তিনি জামিন পাওয়ার পরে বিজলিদেবীর ছেলে সন্দীপ দাসের মোবাইলে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে খুনের হুমকি দিয়ে এসএমএস আসতে থাকে বলে অভিযোগ। তার সূত্র ধরে গত ২৮ অগস্ট কলকাতার বরানগরের আলমবাজার থেকে বিজলিদেবীদের আত্মীয় মোহিত শীল ও তাঁর ছেলে রহিত শীলকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে পরের দিন আদালতে তোলা হলে তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
গত ৩১ অগস্ট ধৃতেরা বিচারকের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন, ওসি তথা মামলার তদন্তকারী অফিসার সনৎবাবু তাঁদের উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন। ৩০ অগস্ট রাত দেড়টা নাগাদ তাঁদের লক-আপ থেকে বের করে ওসি-র ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। ওসি তাঁদের হাত মুচড়ে দেন। সেখানে সঞ্জীব দাস (‘সন্দীপ’ লিখতে গিয়ে ভুল করে ‘সঞ্জীব’ লেখা হয়েছিল বলে অনিমেষবাবুদের দাবি) ও তাঁর বন্ধু অপু ঘুষি-লাথি মারে রহিতের তলপটে। পুলিশের সামনেই গালিগালাজ করে তাঁদের মারধর করা হয়।
অভিযোগ পেয়েই এসিজেএম অঞ্জনকুমার সরকার ওসি-কে মঙ্গলবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি কাজ থাকায় তিনি এ দিন আসতে পারেননি। সন্দীপের দাবি, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।” ওসি-র বক্তব্য, “এই ধরনের ঘটনা হওয়া অসম্ভব। যা বলার আদালতে বলব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.