‘আউটসোর্সিং’-এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ |
আউটসোর্সিং এর প্রতিবাদে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জিএম কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মী। পাঁচটি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে বুধবার কয়েক ঘন্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ। ওই কারখানার আইএনটিইউসির ইউনিট সম্পাদক স্বপনকুমার লাহার অভিযোগ, “আমরা শুনেছি, কর্তৃপক্ষ প্রায় ১২৫টি ইঞ্জিন বানানোর জন্য বাইরের একটি সংস্থাকে বরাত দিচ্ছে। আমরা এর বিরোধিতা করছি।” সিটু নেতা অলোক ঘোষের দাবি, “বাইরের সংস্থাকে ইঞ্জিন বানানোর বরাত দিয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানার ভবিষ্যত নষ্ট করছে।” যদিও শ্রমিক সংগঠনগুলির এই অভিযোগ মানতে না চেয়ে সংস্থার তরফে জনসংযোগ আধিকারিক মন্তার সিংহ দাবি করেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ নয়, এই বরাত দিচ্ছেন রেলওয়ে বোর্ড। মন্তারবাবু জানান, ভারতীয় রেল ইঞ্জিনের চাহিদা আগামী দুই বছরে অনেকটাই বাড়তে চলেছে। এই চাহিদা পূরণ করা একা চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার পক্ষে সম্ভব নয়। উৎপাদনের পরিমাণ বেশ কিছুটা বাড়ানোর পরেও ইঞ্জিনের চাহিদা পূরণে ঘাটতি থেকে যাবে। সেইজন্য অন্য সংস্থাকে প্রায় শতাধিক ইঞ্জিন বানানোর বরাত দেওয়া হচ্ছে। রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, এতে কারখানার ভবিষ্যত ক্ষুন্ন হবে না। বরং লাভের মুখ দেখবে সংস্থাটি।
|
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। রানিগঞ্জের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভোলা পণ্ডিত জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হঠাৎ তাঁর স্ত্রীর চোখে পড়ে তাঁদের দলীয় কার্যালয়টি জ্বলছে। ভোলাবাবুর দাবি, স্ত্রীর চিৎকারে বেরিয়ে এসে তিনি দেখেন, সিপিএম নেতা কল্লোল ঘোষ, অরূপ ঘোষ-সহ জনা পাঁচেক সিপিএম নেতা তাঁদের কার্যালয় থেকে পালাচ্ছেন। বুধবার সকালে রানিগঞ্জ থানায়লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভোলাবাবুরা। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলি বলেন, “খনি শিল্পাঞ্চলে রানিগঞ্জকে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্র হিসাবে চিহ্নিত করেছে সিপিএম। নানা ভাবে তারা তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করতে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। পুলিশকে কঠোর হতে অনুরোধ করেছি আমরা।” তবে কল্লোলবাবুদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমন ঘটনা বারবার ঘটছে বলে তাঁদের অনুমান। কল্লোলবাবুর কথায়, “পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।” পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
পূর্ব রেলের আসানসোল রেল ডিভিশনের দোমহানি রেল কলোনি এলাকায় সমাজবিরোধী কাজকর্ম বন্ধ করার জন্য উচ্ছেদ শুরু করল রেল। একটি ঘর থেকে বেশ কিছু মদের বোতল ও একটি দেশি রিভলবার বাজেয়াপ্ত করেছে আরপিএফ। আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার অমরেশকুমার জানান, তাঁরা খবর পেয়েছিলেন দোমহানি রেল কলোনি এলাকার কিছু আবাসন দখল করেছে সমাজবিরোধীরা। রেলের জমি দখল করে দোকান বানানো থেকে অসামাজিক কাজের জন্য ডেরা বানিয়েছে তারা। অমরেশবাবু জানান, বিশেষ অভিযানে নেমে আরপিএফ একাধিক অবৈধ দোকান ভেঙেছে। আসানসোলের ডিআরএম এসএস গেহেলোতের কথায়,“রেল আবাসন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে রেল।
|
কিষান কার্ডের দাবি কাজোড়ায় |
বর্গাদার ও প্রান্তিক চাষীদের কিষান কার্ড দেওয়ার দাবিতে কাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন কৃষকরা। বিক্ষুব্ধদের পক্ষে অক্ষয় গোপ জানান, অনেক বর্গাদার ও প্রান্তিক চাষী কিষান কার্ড পাননি। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অধিকর্তারা বলেন, যাদের বাবা বর্গাদার ছিলেন, বাবার মৃত্যুর এক মাসের মধ্যে বর্গাদার হিসাবে নাম নথিভুক্ত না করানো হলে এই সুযোগ মিলবে না। বিক্ষুব্ধদের দাবি, অতীতে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনও দফতর এমন পরামর্শ না দেওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। বুধবার পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এসেছিলেন অন্ডাল কৃষি অধিকর্তা। তাঁর হাতে দাবিপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। অক্ষয়বাবু জানান, চলতি বছরের ২৫ জুন গ্রামবাসীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা।
|
কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হল এক খনিকর্মীর। রানিগঞ্জের অমৃতনগর কোলিয়ারির ঘটনা। কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ জানান, হেমানি মাজি (৪৯) নামে ওই কর্মী অপারেটরের কাজ করতেন। বুধবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালের পথে মৃত্যু হয় তাঁর। শ্রমিক সংগঠনগুলি মৃতের পোষ্যের চাকরির দাবি জানায়। সংশ্লিষ্ট কুনস্তরিয়া এরিয়ার জিএম জানান, পদ্ধতি মেনে মৃতের পোষ্যকে চাকরি দেওয়া হবে।
|
রাজনৈতিক রঙ দেখে জব কার্ড তৈরি, একশো দিনের প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া, সংসদে বৈঠক না হওয়া-সহ একগুচ্ছ অভিযোগে মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দীর্ঘক্ষণ তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। গ্রামপ্রধান করুণাময়ী দাস জানান, অভিযোগগুলি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |