বহিরাগতদের নিয়ে স্কুলে ঢুকে কয়েকজন ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করল এক যুবককে। রবিবার ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, ধৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ হাবিবুর। বাড়ি ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ এলাকায়।
ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল জানান, ধৃত ওই যুবকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের মারধর-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই যুবক স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ভাইপো। ওই তৃণমূল নেতা তথা দলের রামগঞ্জ দক্ষিণ অঞ্চল কমিটির সভাপতি ইদ্রিশ আলি বলেন, “আমার ভাইপোকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। স্কুলে কোন গোলমালে হাবিবুর যুক্ত নয়। স্কুলের বাইরে কিছু ছেলে মারপিট করছিল। হবিবুর তা দেখতে গিয়েছিল। এলাকাতে আমাদের বদনামের চেষ্টা করছে সিপিএর সমর্থকেরা।” ইদ্রিশবাবুর দাবি, সিপিএম এর লোকেরাই তাঁর ভাইপোর নাম জড়িয়ে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করিয়েছে ছাত্রদের দিয়ে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএম-এর সদস্যরা। সিপিএম-এর ইসলামপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক স্বপন গুহ নিয়োগী বলেন, “ওরা দোষ করে ধরা পড়লে তখন সবই সিপিএম-এর চক্রান্ত. হয়। ওই ঘটনায় আমাদের কেউ যুক্ত নয়। স্কুলে ছাত্রদের মারধর করেছে বলেই তারা থানায় অভিযোগ করেছে।”
|
অভিযোগ স্বীকার করেছে ধৃত, দাবি |
বালুরঘাটের জেলা পুলিশ লাইন চত্বরে কিশোরী খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় পাহান মক টেস্ট তদন্তেও অপরাধ স্বীকার করেছে বলে দাবি করল পুলিশ। শনিবার রাতে মক টেস্ট হয়। তবে তার বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ওমপ্রকাশ মিশ্র। রবিবার দুপুরে বালুরঘাটের কালাচাঁদ কলোনিতে গিয়ে নিহত কিশোরী রূপার বাবা-মার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়-সহ দলের মহিলা নেতৃত্ব। ওম প্রকাশবাবুকে নিহত কিশোরীর মা রেণুকাদেবী জানান, মেয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত যুবক সঞ্জয়ের কোনও সম্পর্ক ছিল না। ধৃত যুবক কেন এ কথা পুলিশকে বলছে তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। এদিন প্রদেশ নেতা ওমপ্রকাশবাবু বলেন, “জেলা নেতৃত্ব এবং নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে কোথাও ভুল হচ্ছে। বিষয়টির দিকে আমরা নজর রাখছি।” স্থানীয় কালাচাঁদ কলোনির বাসিন্দা কিশোরী রূপা সরেনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সঞ্জয় গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ কিশোরীর সঙ্গে পুলিশ লাইনের ভিতর আমবাগানে দেখা করে। এর পর যে সরু গলির মধ্যে অপরাধ সংঘটিত করেছিল, মক টেস্টে তা তদন্তকারীকে অভিনয় করে দেখিয়ে দেয়। এদিন অভিযুক্তের জামা কাপড় হোটেল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
|
পাটের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ৫ হাজার টাকা করার দাবিতে এক ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ৫টি বামপন্থী কৃষক সংগঠনের সদস্যরা। রবিবার দুপুরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটায় ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর হরিশ্চন্দ্রপুরের ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক তজমূল হোসেনের নেতৃত্বে অবরোধ বিক্ষোভ চলে। বাম সংগঠনগুলির অভিযোগ, পাটের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল পিছু স্থির করা হয়েছে ২২৩৮ টাকা। কিন্তু চলতি বছরে জলাভাবের কারণে চাষিরা পাট পচাতে পারেননি। বহু চাষিই এখন পাট কাটতেও পারেননি। ফলে বাড়তি দাম না পেলে চাষিদের পথে বসতে হবে। তাই পাটের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে জেলা জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলি। এদিন বিক্ষোভ চলার সময় পাট পুড়িয়ে প্রতীকি বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক বলেন, “পাট চাষিদের দুর্দশার শেষ নেই। দাম না পেলে ওদের পথে বসতে হবে। পাট চাষ করে যা খরচ হয়েছে সেটুকুও তুলতে পারছেন না চাষিরা। ফলে পাটের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন জারি থাকবে।”
|
ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে ৩ সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুমেদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের থেকে একটি গুলিভর্তি পাইপগান এবং ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতরা সকলেই চাঁচলের স্বরূপগঞ্জের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে সুবেদ আলি, মোজাম্মেল হক ও আসরাফুল হোসেন নামের ধৃত তিন দুষ্কৃতী মাস কয়েক আগে স্বরূপগঞ্জে একটি ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। এর আগে সুবেদকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কুমেদপুর এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে ৭ দুষ্কৃতী জড়ো হয়। গোপনে এই খবর পেয়ে পুলিশ হানা দিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে, বাকিরা পলাতক। তারা বিহারের বাসিন্দা। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
শনিবার রাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক উল্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু বয়েছে। মৃত আইয়ুব শেখ (৩২) ট্রাকের চালক। তিনি কালিয়াচকের মোজমপুরের বাসিন্দা। শনিবার ট্রাকে গরু ও ছাগল চাপিয়ে কুমেদপুর হাট থেকে মালদহের দিকে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়।
|
মেয়েকে ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারধরের অভিযোগে শুক্রবার রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জে ধৃত কিশোর পুলিশকর্মীর ছেলে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, তার বাবা সন্তোষ দাস রায়গঞ্জ আদালতে হোমগার্ডের পদে কর্মরত। শনিবার আদালতে বিচারক ধৃতের জামিনের আবেদন খারিজ করেন। অভিযুক্তকে বিচারক জুভেনাইল বোর্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন। |