হাতে কোদাল-কুড়ুল, সাফাইয়ে ডাক্তারেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
ডাক্তারের গলায় স্টেথোস্কোপ নেই। তার বদলে হাতে কোদাল-কুড়ুল। ছুরি-কাঁচি নিয়ে অপারেশন টেবিলের জায়গায় জঞ্জাল সাফাই! রবিবার সকালে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসকদের এই ছবি দেখা গেল।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ প্রদ্যোত পান কোদাল হাতে ব্যস্ত হাসপাতালের কয়েক ফুট দূরত্বে ডাঁই হয়ে পড়ে থাকা জঞ্জাল সরাতে। অন্য দিকে, বেশ বড়সড় একটি ঝোপের লতানো গাছে কুড়ুল মারছেন প্রাক্তন হাসপাতাল সুপার তথা বর্তমানে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্তা সুব্রত বিশ্বাস। পাশেই ঝুড়ি হাতে জমা জঞ্জাল সাফ করছেন চিকিৎসক তড়িৎকান্তি পাল, প্রদীপ দে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এখানে-ওখানে আরও জনা পনেরো চিকিৎসক। সকলেই সামিল ময়লা সাফাই অভিযানে।
আর ময়লা ফেলা গাড়িতে সেই সব জঞ্জাল বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন ৩৫ জন ঠিকা শ্রমিক। এ দিন সকাল থেকে দুপুরএই দৃশ্য হাঁ করে তাকিয়ে দেখলেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা। দেখতে মাঝেমধ্যেই বিছানা ছেড়ে উঠলেন রোগীও। এই কর্মযজ্ঞের মাঝেও সময় ভাগ করে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে রাউন্ড দিলেন ওই চিকিৎসকেরা। |
|
বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ছবিটি তুলেছেন শুভ্র মিত্র। |
এই উদ্যোগ তৃণমূল প্রভাবিত প্রগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের। হঠাৎ কেন সাফাই অভিযান? সংগঠনের রাজ্য কমিটির সহ-সম্পাদক জয়মাল্য ঘোষ বলেন, “হাসপাতালের আশপাশের পরিবেশ সুন্দর থাকা জরুরি। এই বোধ থেকে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই আমাদের এই অভিযান। বিষ্ণুপুরে চলবে চার দিন। এর পরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল এবং পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালেও হবে এই অভিযান।” এই কর্মসূচি পরে রাজ্যের অন্য হাসপাতালগুলিতেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। |
|