|
|
|
|
রোগী নিয়ে যেতে অস্বীকার |
ডায়মন্ড হারবারে ৭টি অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর জনতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার |
আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা এক বালিকাকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেছেন অ্যাম্বুল্যান্স-চালক, এমনই ছিল অভিযোগ। আর তার জেরে শনিবার গভীর রাতে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা সাতটি অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর চালাল জনতা। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার হাসপাতালের গেটের সামনের রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করিয়ে ঘণ্টা দেড়েক অবরোধ করেন চালকেরা। সমস্যায় পড়েন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়-স্বজনেরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়নগর গ্রামের বাসিন্দা সুমন মান্নার বছর দশেকের মেয়ে শ্রেয়সী ভুল করে শনিবার কানের দুল গিলে ফেলে। সেটি তার গলায় আটকে যায়। রাত ১১টা নাগাদ তাকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বালিকার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ‘রেফার’ করেন চিকিৎসকেরা। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
ওই হাসপাতাল চত্বরে ৮-১০টি বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স প্রতিদিনই থাকে। তেমনই একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে মেয়েকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সুমনবাবু। কিন্তু ওই অ্যাম্বুল্যান্স-চালক কলকাতায় যেতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই সুমনবাবুর সঙ্গে আসা লোকজন এবং স্থানীয়েরা ৭টি অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর চালান বলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চালকেরা। অ্যাম্বুল্যান্সগুলির সামনের কাচ ভাঙে। পরে অন্য জায়গা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে সুমনবাবু মেয়েকে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে যান। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তাঁর মেয়ের গলা থেকে দুলটি বের করা হয়েছে বলে জানান সুমনবাবু।
আগের রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে সুমনবাবু বলেন, “অনেক অনুরোধেও কোনও অ্যাম্বুল্যান্স কলকাতায় যেতে চাইছিল না। মেয়ে খুব কষ্ট পাচ্ছিল। বাধ্য হয়ে অন্য জায়গা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকি। তখনই ক্ষিপ্ত লোকজন ভাঙচুর চালান।” তবে, ওই ঘটনায় তাঁদের কেউ জড়িত নন বলে দাবি সুমনবাবুর। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, কলকাতায় রোগী নিয়ে যেতে হলে হাসপাতাল চত্বরে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সগুলি সব সময়েই অতিরিক্ত ভাড়া চায়। তা না দিলে যেতে অস্বীকার করে। রাতে বহু চালকই মদ্যপ অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্স চালান। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
অ্যাম্বুল্যান্স-চালকদের পক্ষে পার্থপ্রতিম দাস যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “আগের রাতে অ্যাম্বুল্যান্স-চালক খেতে গিয়েছিলেন বলে সুমনবাবুদের পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ওঁরা সেই সময়টুকু দিতে চাননি। অন্যায় ভাবে গাড়িগুলিতে হামলা চালানো হল।” |
|
|
|
|
|