অধরা অভিযুক্তেরা
কুমারগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা
কুমারগ্রাম ব্লকের পাগলাহাটের মুদি ব্যবসায়ী মুন্না গুপ্তাকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় ৪ দিন পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এর পিছনে সক্রিয় কি না স্পষ্ট খবর নেই পুলিশের কাছে। ঘটনার পর থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উদ্বেগে রয়েছেন। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হলেও ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের একাংশ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অসম যাওয়ার রাস্তাগুলিতে পুলিশ ক্যাম্প বসানোর দাবি তুলেছেন তারা।
গত শনিবার গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কুমারগ্রামে আসেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি। পাগলাহাটে গিয়ে মুন্না গুপ্তা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। অসম সীমানা এবং ভূটান সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। মহকুমার পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন কুমারগ্রাম থানায়। বৈঠকে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিশ্বচাঁদ ঠাকুর-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা। পরে পুলিশ সুপার শামুকতলার মোমিনপাড়া শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেন। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই ঘটনায় যুক্ত কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে অসম সীমানায় এবং ভুটান সীমান্তে প্রত্যন্ত গ্রাম, বনবস্তি এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অসমে যাওয়ার রাস্তাগুলিতে বিশেষ পুলিশ টহলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এদিন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থার দাবি জানান।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ ৩ দুষ্কৃতী নম্বর ছাড়া একটি মোটর সাইকেলে চেপে পাগলাহাট এলাকায় যায়। মুন্নাবাবু তাঁর মুদির দোকানেই ছিলেন। দুষ্কৃতীদের একজন মোটর বাইকে বসে ছিলে। বাকি দুই জন বাইক থেকে নেমে মুন্নাবাবুর কাছে যান। ‘চলো সাহেব ডাকছেন’ বলে তাঁকে আসতে বলে। মুন্নাবাবু কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে টানাহ্যাচরা শুরু করে ওই দু’ জন। ধস্তাধস্তি হয়। মুন্নাবাবু তাদের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। প্রতিবেশী এবং ব্যবসায়ীরাও ছুটে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে বারবিশার দিকে পালিয়ে যায়।
পুলিশের অনুমান, মোটা টাকা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যেই ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করবার চেষ্টা করা হয়েছে। অপহরণে ব্যর্থ হয়ে তারা অসমের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে অসম সীমানা মাত্র ৩/৪ কিলোমিটার। ওই দুষ্কৃতীরা বালাপাড়া, হেমাগুড়ি বা রাধানগর দিয়ে সংকোশ নদী পার হয়ে অসমে পালিয়েছে বলে পুলিশের একাংশের সন্দেহ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.