|
|
|
|
তোলা আদায়ের চেষ্টা, গ্রেফতার ৪ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
ব্যবসায়ীকে অপহরণের হুমকি দিয়ে তোলা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে দুই ভাই-সহ চার যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের জয়গাঁ থানা এলাকায়। পুলিশের অনুমান ধৃতরা অসম-বাংলা এলাকার বেশ কিছু অপহরণ ও তোলা আদায়ে যুক্ত। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম সঞ্জয় বর্মন, ছোট বর্মন, নন্দেশ্বর বর্মন এবং মহম্মদ মুলতান। তাদের মধ্যে সঞ্জয় এবং ছোটন দুই ভাই। বাড়ি অসমের গোসাইগাঁও এলাকায়। নন্দেশ্বর কোচবিহারের বক্সিরহাটের বাসিন্দা। মহম্মদ মুলতান বিহারের। কয়েক বছর ধরে বীরপাড়ার একটি গ্যারাজে কাজ করত মূলতান। তারই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ফেলতে বলেছিল অন্যান্যরা। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “জয়গাঁর ব্যবসায়ী নরেন্দ্র সিংহকে ফোন করে তার মেয়েকে অপহরণের এবং বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর হুমকি দিয়েছিল ধৃতরা। দলটি মূলত ফোনে হুমকি দিয়ে বাংলা ও আসমের বিভিন্ন এলাকায় তোলা তুলেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে। এদের সঙ্গে আরও ১০-১২ জন যুক্ত। এরা অসম বা বাংলায় কোনও অপহরণ কান্ড ঘটিয়েছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”
জয়গাঁ থানার ওসি বিনোদ গজমীর জানান, ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর জয়গাঁর পরিবহণ ব্যবসায়ী নরেন্দ্র সিংহের মোবাইলে ফোন করে তাঁর মেয়েকে অপহরণ করার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তারা দুই লক্ষ টাকা দাবি করে। প্রথমে বিষয়টি আমল না দিলেও বারবার ফোন আসায় ওই ব্যবসায়ী ঘটনাটি জয়গাঁ থানার ওসি বিনোদ গজমেরকে জানান। পুলিশ অপহরণকারীদের ধরতে ফাঁদ পাতে। তোলাবাজদের মোবাইল নম্বর থেকে ফোনের সূত্র ধরে তাদের অবস্থান খোঁজা হয়। ফোনেই টাকার পরিমাণ কমানো নিয়ে চলে দর কষাকষি। অবশেষে ১৫ হাজার টাকায় রাজি হয় তোলাবাজরা। টাকা দেওয়ার জন্য পুলিশের পরামর্শে তাদের ডাকা হলেও তা না এসে একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে টাকা জমা দিতে বলে। গত ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র তিন হাজার টাকা পুলিশ ওই অ্যাকাউন্টে জমাও দেয়। শনিবার বাকি টাকা নিতে এলে অভিযুক্তদের ৩ জনকে জয়গাঁর একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের আর এক সঙ্গীকে বীরপাড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অসম থেকে আচমকা এসে তোলা তুলে চলে যেত দলটি। পুলিশের সন্দেহ, বলটি আলিপুরদুয়ারের ২০১১ সালে স্কুল শিক্ষক দেবদীপ্তিআচার্য, হাতুড়ে চিকিৎসক নারায়ণ সেন, ২০১২ সালে বারবিশার ব্যবসায়ী তাপস সাহা অপহরণে যুক্ত। গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমারগ্রামে মুন্না গুপ্তা নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা করে দুই বাইক আরোহী। বাধা পেয়ে তারা গুলিও ছোড়ে বলে আভিযোগ। ধৃতদের দলটি ওই কাণ্ডে যুক্ত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|