|
|
|
|
মানুষের কাছে পৌঁছতে গ্রামে ঘুরবেন গৌতম দেব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
মুখ্যমন্ত্রীর পথেই এবার সরকারের ‘সফলতা’ জানাতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়য়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির দলীয় অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কথা জানান গৌতমবাবু। তিনি জানান, ‘মানুষের কাছে চল’-এই স্লোগানে শুরু হবে যাত্রা। দেড় বছরের ‘সফলতা’ তুলে ধরার পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামের গরিব মানুষদের অভাব, অভিযোগ শুনবেন তিনি। সেই কথা লিখে রাখার পাশাপাশি ভিডিওগ্রাফি করে রেকর্ড করা হবে। সেখান থেকে তৈরি হবে পরবর্তী পরিকল্পনা। যা দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ১১ সেপ্টেম্বর নকশালবাড়ির ব্যাঙাইজোত থেকে যাত্রা শুরু করবেন তিনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলেছেন মানুষের কাছে যেতে হবে। মহাকরণকে জেলায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রেরণাতেই গ্রামে যাব। নকশালবাড়ি থেকে শুরু করব। সেখানে একসময় কৃষক বিদ্রোহ হয়েছে। সে পথ ঠিক না বেঠিক তা নিয়ে তর্ক চলতে পারে, কিন্তু কিছু মানুষ কৃষকদের হয়ে লড়াই করেছেন। একসময় প্রবাদপ্রতিম বাম নেতারাও সেখানে ছিলেন। আর এখন মুখ্যমন্ত্রী কৃষক-শ্রমিকের একমাত্র বন্ধু। তিনি ২৬ দিন অনশন করেছেন কৃষকদের জন্য।” তিনি জানান, প্রথম দফায় দু’দিন যাত্রা করা হবে। ১১ সেপ্টেম্বর নকশালবাড়ির ব্যাঙাইজোত থেকে রেলওয়ে গেট, কটিয়াজোত, বাসস্ট্যান্ড এলাকা হয়ে নকশাল নেতা কানু সান্যালের গ্রাম হাতিঘিষা হয়ে মেরিভিউ চা বাগানে যাবেন। ওই রাতে মেরিভিউ চা বাগানে আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে তিনি থাকবেন। তাঁদের জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্যই সেখানে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ওই দিন ১৬ কিলোমিটার যাত্রা করবেন। জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলি পায়ে হেঁটে ঘুরবেন বলে মন্ত্রী জানান। ওই দিন ২০টি গ্রামে গিয়ে ১৫টি মিটিং করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। ১২ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে রাঙালি, কালিঘাট, জোরপাকুরি-বাতাসী হয়ে খড়িবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় ঘুূরবেন। ৩১টি গ্রামে ২১টি মিটিং করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকে ঘুরবেন। ওইদিন টোটোপাড়ায় থাকার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। আড়াই মাসে ১২দিন উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর এবং মালদায় ঘুরবেন তিনি। তিনি মূলত আদিবাসী, তপশিলি এবং সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে ঘুরবেন। প্রতিটি জায়গাতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে রাত কাটাবেন মন্ত্রী। এ ছাড়া ঢেকলাপাড়া চা বাগানেও তিনি একদিন যাবেন। মন্ত্রী বলেন, “বেশিরভাগ পথ হেঁটেই যাত্রা করব। দুটি ট্যাবলো থাকবে। হ্যান্ডমাইক রাখা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, পরিকল্পনা, সফলতা গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে জানাব। তাঁদের অভাব, অভিযোগ শুনব। সে সব কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।” |
|
|
|
|
|