পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ড থেকে থেকে পালাল এক চিকিৎসাধীন বন্দি। ওই ঘটনায় সাসপেন্ড হয়েছেন দুই পুলিশকর্মী। পুলিশ সূত্রের খবর, পলাতক সঞ্জয় সরকার সোনামুখী থানা এলাকার কেনেটি গ্রামের বাসিন্দা। নিজের জেঠুর বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার চালানো ও জেঠতুতো বোনের শ্লীলতাহানির অভিযোগে গত বছরে ধরা হয় তাকে। এর পর বিষ্ণুপুর আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। কিন্তু শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় চলতি বছর ৬ মে সঞ্জয়কে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ।
সম্প্রতি মানসিক চিকিৎসার জন্য ওই যুবককে বিষ্ণুপুর জেল থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, সঞ্জয়কে নজরে রাখতে হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে ছিলেন ৩ জন পুলিশকর্মী। শনিবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে শুয়ে পড়ে সঞ্জয়। রবিবার সকালে পুলিশকর্মীরা তাকে আর দেখতে পাননি। ঠিক কী ভাবে পালাল ওই বন্দি, তা নিয়ে পুলিশ এখনও ধন্দে। তবে, জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের অভিযোগ, “সঞ্জয়কে প্রথমে হাসপাতালে জেলবন্দিদের ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছিল। কিন্তু, মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা সেখানে গিয়ে সঞ্জয়েক চিকিৎসা করতে রাজি না হওয়ায় তাকে সাধারণ মানসিক ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। আমরা তখন বাধাও দিয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শোনেননি।”
ওই পুলিশকর্তার আরও দাবি, জেলবন্দিদের ওয়ার্ডে সঞ্জয়কে রাখলে এমন ঘটনা ঘটত না। হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু অবশ্য বলেন, “চিকিৎসার স্বার্থেই সঞ্জয়কে মানসিক ওয়ার্ডে আনা হয়েছিল।” বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “পলাতক বন্দির খোঁজ শুরু হয়েছে। ঘটনায় এক জন এএসআই এবং এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” |