ভুয়ো চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ডাক্তারি করার অভিযোগে সঞ্জয়কুমার ঝা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। সঞ্জয় ওরফে বিনয় বিহারের সহর্ষ জেলার মাহিসি থানা এলাকার নাহারকুঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। পুরুলিয়া শহরের একটি ওষুধের দোকানের মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ধরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া শহরের সাহেববাঁধ রোডের একটি ওষুধের দোকানে নিজেকে পেটের রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সঞ্জয়মাসখানেক রোগী দেখছিলেন। যে দোকানে তিনিরোগী দেখতেন, তার মালিকই পুলিশের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ওষুধের দোকানের মালিক সঞ্জয় শেখর পুলিশকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি একটি হোটেলের মালিকের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে ধৃত ব্যক্তির আলাপ হয়। ধৃত ব্যক্তি নিজেকে এমবিবিএস, এমডি, ডিএম (গ্যাস্ট্রো) হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। |
ওই ওষুধের দোকানেও বসার জন্য চিকিৎসকের প্রয়োজন থাকায় তিনি সঞ্জয়কুমার ঝা নামে ওই ব্যক্তিকে তাঁর দোকানে বসে রোগী দেখার প্রস্তাব দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আর আগে বীরভূমের রামপুরহাটেও এই ব্যক্তি পেটের রোগের বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে রোগী দেখতেন। সঞ্জয় শেখর বলেন, “রামপুরহাটের ওই দোকানের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওদের কথা শুনেই জানতে পারি, এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওখানেও নানা অভিযোগ রয়েছে। উনি সেখানে বিনয়কুমার ঝা নাম নিয়ে রোগী দেখতেন। এখানে নাম ভাঁড়িয়েছেন। তা ছাড়া আমার কাছেও ওষুধের জন্য টাকা দাবি করেছিলেন। কিছু টাকা নিয়েও গিয়েছিলেন।” এ সব দেখে সঞ্জয় শেখরের সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন।
পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে তারা দেখে, যে যে ডিগ্রি ধৃত ব্যক্তির রয়েছে বলে তিনি দাবি করছেন, তাঁর আদৌ সেই ডিগ্রিগুলি নেই। কোনও প্রমাণও দেখাতে পারেননি। প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে ধরা হয়েছে। ধৃতকে রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১২ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত সঞ্জয়কুমার ঝা-এর অবশ্য দাবি, “আমি একজন চিকিৎসক। আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আদালতই বিচার করবে।” |