৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব’ উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বহরমপুর মেরি ইমাকুলেট স্কুল কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার সারা দিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ওই উৎসব উদ্যাপনের সূচনা হবে।
আজ থেকে ৫০ বছর আগে কৃষ্ণনগরের বিশপ এলআর মরো (L.R Morrow)-র কাছে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাদানের জন্য বহরমপুরে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অনুরোধ করেন বহরমপুরের কয়েক জন শিক্ষানুরাগী। সেই মতো সিস্টার্স অফ মেরি ইমাকুলেট সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা এলআর মরো ‘মেরি ইমাকুলেট’ নামে একটি স্কুল গড়ে তোলেন বহরমপুরের গোরাবাজার শহিদ সূর্য সেন রোডে। বর্তমানে সেখানে দোতলা বিশাল স্কুল ভবন নির্মিত হয়েছে। স্কুলের মধ্যেই রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের খেলার জন্য বিশাল মাঠ। পুরনোদের মধ্যে অন্যতম সিস্টার সিসিলি বলেন, “স্কুল চালুর সময়ে মন্টেসরিতে শুধু পড়ানো হত। পরে ধাপে ধাপে ক্লাসের সংখ্যা বেড়েছে। ১৯৭০ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হত। পরে ১৯৬৯ সালে আইসিএসই বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক চালু হয়। ২০০৯ সালে আইএসই বোর্ডে অধীনে উচ্চমাধ্যমিক চালু হয়।” ওই স্কুল থেকেই ২০১১ সালে ৩১ জন উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করেন।
শুরুতে হাতে গোনা কয়েক জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে স্কুল চালু হলেও বর্তমানে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২৩০০। স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক বিভাগে ৬ জন, প্রাথমিক বিভাগে ২০ জন এবং মাধ্যমিক স্তরে ৩২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। স্কুলের অধ্যক্ষ সিস্টার সলি বলেন, “অনেক আগেই সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালনের কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা হয়ে ওঠেনি। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ওই উৎসব উদ্যাপনের সূচনা হবে।” ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজীব কুমার।
উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণ থাকবে স্কুলের প্রায় ৩০০ ছাত্রছাত্রীর সমবেত নাচ। সিস্টার সলি বলেন, “জাতীয়তা বোধ গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রদেশের সঙ্গীত-সহযোগে নৃত্য পরিবেশিত হবে। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা ওই নাচ কোরিওগ্রাফি করেছে।” এ ছাড়াও ছাত্রছাত্রীরা গান পরিবেশন করবে। ওই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে আগামী ২৮-৩০ নভেম্বর। তিন দিন ব্যাপী ওই বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জেলার পাশাপাশি কলকাতার শিল্পীদেরও অংশগ্রহণে মুখর হয়ে থাকবে স্কুল প্রাঙ্গণ। |