|
|
|
|
কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ |
র্যাগিংয়ের নালিশ, গ্রেফতার তিন ছাত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগে কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের তিন ছাত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
শনিবার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রশাসনিক অফিসে অভিযোগকারী প্রথম বর্ষের ছাত্র শুভ্র সামন্তের উপস্থিতিতে উঁচু ক্লাসের ৬ ছাত্রকে দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে কোলাঘাট থানার পুলিশ। রবিবার তাঁদের তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন জনকেই ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান। কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধিকর্তা নরেন্দ্রনাথ জানা বলেন, ‘‘প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বিতীয় বর্ষের এক ও তৃতীয় বর্ষের দুই ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি বিচারাধীন। আশা করি ঠিক বিচারই হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার জ্যোতঘনশ্যাম গ্রামের বাসিন্দা শুভ্র কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হলেও হস্টেলে থাকতেন না। কলেজের কাছেই মিহিটিকিরি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকেই কলেজে আসতেন তিনি। মাত্র পাঁচ দিন ক্লাস করেছিলেন। এর মধ্যেই উঁচু ক্লাসের ছেলেদের সঙ্গে তাঁর গণ্ডগোল বাধে বলে অভিযোগ। গত ৩০ অগস্ট কলেজ থেকে সাইকেল চেপে বাড়ি ফেরার সময় কোলাঘাট থানার কাছে মুখে কাপড় বাঁধা একদল যুবক তাঁকে আটকে মারধর করেন বলে অভিযোগ শুভ্রের। উঁচু ক্লাসের ছেলেরাই ওই হামলা চালিয়েছিলেন বলে গত সোমবার কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান শুভ্র। মঙ্গলবার কলেজের মধ্যেই ফের তাঁর উপর উঁচু ক্লাসের ছেলেরা হামলা চালান বলে অভিযোগ জানান। আহত অবস্থায় শুভ্রকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। প্রথম বর্ষের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ছাত্র শুভ্রের অভিযোগ, “প্রথম থেকেই উঁচু ক্লাসের কিছু ছাত্র অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করত। এই নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানোয় হামলা চালায় ওঁরা।”
যদিও অভিযুক্ত ছাত্রদের পরিবারের লোকেদের দাবি, পুরোটাই ‘মনগড়া’ অভিযোগ। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেরই তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের বক্তব্য, “কোনও অভিযোগেরই প্রত্যক্ষদর্শী কেউ নেই। কয়েকজন ছেলে দিনেদুপুরে মুখে কাপড় বেঁধে রাস্তায় এক জনের উপরে হামলা চালাল, আর কেউ দেখল নাএটা বিশ্বাস্য নয়। মিথ্যা অভিযোগে সহপাঠীদের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গেল।” |
|
|
|
|
|