|
|
|
|
ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল রেলশহর খড়্গপুরে।
শনিবার রাত ৮টা নাগাদ শহরের মথুরাকাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। রাতেই ওই ছাত্রীর বাবা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। এলাকারই সাত যুবক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পুলিশ। আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৮টা নাগাদ এক বান্ধবীর বাড়ি থেকে সাইকেলে চেপে ফিরছিলেন রেলওয়ে গালর্স হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। পথে এক বন্ধুর সঙ্গে তার দেখা হয়। দু’জনে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। অভিযোগ, সেই সময় ৩টি মোটর সাইকেলে চেপে সাত যুবক ঘটনাস্থলে আসে। ওই যুবকেরা নিজেদের ‘পুলিশের লোক’ পরিচয় দিয়ে রাতের বেলায় গল্প করার জন্য ‘জরিমানা’ চায়। অবস্থা বেগতিক বুঝে বন্ধুটি টাকা আনতে গেলে যুবকেরা ওই নাবালিকাকে পাশে একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে টাকা নিয়ে বন্ধুটি ফিরে এসে আশপাশে কাউকে দেখতে না-পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পাশের মাঠ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। রাতে খড়্গপুর টাউন থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ছাত্রীর বাবা।
ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েকজনকে ‘আটক’ করে পুলিশ। পরে এদের মধ্যে থেকে কৌশিক দাস ও প্রান্তিক বেজ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। কৌশিকের বাড়ি মথুরাকাটি এলাকাতেই। বাকি পাঁচ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। রবিবার ঘটনার তদন্তে খড়্গপুরে আসেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ। ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) লক্ষ্মীনারায়ণ মিনাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন আইজি। |
|
|
|
|
|