জাল নোট পাচার এবং বাজারে ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে রিষড়া স্টেশনের কাছে মাল গুদামের সামনে আরবিসি রোড থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃত আকবর হোসেনের বাড়ি রিষড়ার এ বি রোডে। তার কাছ থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রিষড়া থানার ওসি অনুদ্যুতি মজুমদার বাহিনী নিয়ে মাল গুদামের সামনে থেকে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেন। পুলিশের দাবি, বাবাই সরকার ওরফে গুঁজিয়া নামে এক দুষ্কৃতীর হাতে ওই জাল টাকা তুলে দেওয়ার জন্যই আকবর সেখানে গিয়েছিল। সম্প্রতি রিষড়ার দক্ষিণপল্লিতে লেবু নামে এক দুষ্কৃতী গুলিতে খুন হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে লেবুর বাবাও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই জোড়া খুনের ঘটনায় গুঁজিয়াও জড়িত বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।” শনিবার ধৃত আকবরকে শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
|
পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ ও দমকল। রবিবার, জগাছা থানা এলাকার সাঁতরাগাছি স্টেশন রোড সংলগ্ন ভিআইপি কলোনিতে। যুবকের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩২। পুলিশ জানায়, কুয়োটি ফাঁকা এবং ঘেরা জায়গার ভিতরে। বাইরের গেটটি সর্বক্ষণ বন্ধ থাকে। শনিবার দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়েরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখে গন্ধ আসছে কুয়োর দিক থেকে। খবর যায় দমকলে। গেটের তালা ভেঙে দমকল দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই জায়গাটির মালিক অবনী সামন্ত নামে এক বাসিন্দা। তিনি তিন-চারটে বাড়ি পরেই থাকেন। তবে, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ঘেরা জায়গায় কী ভাবে ওই যুবক পৌঁছলেন? কেউ খুন করলেও কী ভাবে বন্ধ জায়গায় দেহ ফেলে গেল, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। অবনীবাবু বলেন, “বহু দিন ধরেই জায়গাটি পড়ে। ফাঁকা জায়গায় কুয়ো বলে দরজায় তালা দিয়ে রাখা হয়।” পুলিশ জানায়, মৃতদেহের কাছে একটি ব্যাগ, তাতে দু’টি ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। সেই নম্বরে যোগাযোগ করে মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। হাওড়ার ডিসি (সদর) নিশাদ পারভেজ বলেন, “মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়না-তদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”
|
বছর পঁয়ত্রিশের এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার হল আরামবাগের মলয়পুরে মুণ্ডেশ্বরী নদী থেকে। স্থানীয় চকবেশে গ্রামের এক মাঝি শনিবার দেহটি জল থেকে তুলে পুলিশে খবর দেন। |