বাজারের সামনে দাঁড়িয়ে ম্যাটাডর ভ্যান। সিপিএম পরিচালিত বালি পুরসভার বন্ধ পুরনো অফিস থেকে নামিয়ে আনা হচ্ছে বস্তা বস্তা সরকারি কাগজপত্র। তোলা হচ্ছে ভ্যানে।
রবিবার রাতে এই দৃশ্য দেখে বালির গোস্বামীপাড়ার লোকজন হতহাক হয়ে যান। ঘোর কাটতেই ভ্যানটি ঘিরে ফেলেন তাঁরা। আটকে রাখেন চালককে। দেখা যায়, নাগরিকদের করের রসিদ, মিউটেশন-সহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সরিয়ে ফেলা হচ্ছিল রাতের অন্ধকারে। কেন?
বালি পুরসভার বিরোধী দলনেতা, তৃণমূলের রেয়াজ আহমেদের অভিযোগ, “কারচুপি ধামাচাপা দিতেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছিল। সিপিএম দীর্ঘদিন ধরে পুরসভায় বহু দুর্নীতি করেছে। বিশেষ অডিটের জন্য আমি পুরমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।” এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান, সিপিএমের অরুণাভ লাহিড়ি। তিনি শুধু বলেন, “কোনও কাগজপত্র অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হলে তা আমার নির্দেশেই হবে। কিন্তু আমি নথি সরানোর কোনও নির্দেশ দিইনি। সোমবার ওই সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখব। তার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকেই ছাড়া হবে না।” পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ভ্যানের চালক ও খালাসি এবং ওই অফিসের কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
পুরসভার পুরনো অফিসটি গোস্বামীপাড়ার পুরবাজারেই। বালি পুরসভার বর্তমান অফিস জিটি রোডের উপরে। পুরনো পুরভবন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। রাতে কেয়ারটেকারের সামনেই পুরনো অফিস থেকে নথি পাচার হতে দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা কেয়ারটেকার রাজেন্দ্র সিংহকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, ওই নথিপত্র ডানকুনিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এক পুরকর্তার নির্দেশে। তাঁরই নির্দেশে শনিবার ওই অফিস থেকে কয়েকটি সেলাই মেশিনও সরানো হয়েছে বলে জানান রাজেন্দ্র। |