‘জেলা সদর হিসাবে গড়ে উঠুক দুর্গাপুর’ (আবাপ, ১৩ অগস্ট) চিঠি প্রসঙ্গে জানাই, জেলা সদর হিসাবে দুর্গাপুরের নাম তুলে ধরা অযৌক্তিক। নতুন জেলা সদরের স্বাভাবিক দাবিদার আসানসোল। ঐতিহাসিক দিক থেকে প্রাচীন শহর আসানসোল। তিনশো’ বছর বা তার বেশি সময়ের এই শহরটিতে রেল স্টেশন হয় ১৮৬৩-’৬৪ সালে। ১৮৯৬ সালে গঠিত হয় আসানসোল পুরসভা। ১৯০৯ সালে রানিগঞ্জ মহকুমা থেকে পৃথক হয়ে গঠিত হয় আলাদা মহকুমা। সেই তুলনায় দুর্গাপুর তো হাঁটুর বয়সী। পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি পথ চলা শুরু দুর্গাপুরের। ভৌগোলিক দিক থেকেও আসানসোলের অবস্থানটি কেন্দ্রীয়। প্রান্তিক চিত্তরঞ্জন ও দুর্গাপুরের মাঝামাঝি জায়গায় আসানসোল। এখনই অনেক কিছুর সদর দফতর আসানসোলে। রেল, জীবনবিমা কর্পোরেশন, আয়কর বিভাগ, কমিশনারেট অব পুলিশের প্রধান দফতর এখানে। এ ছাড়াও রয়েছে জেলা হাসপাতাল, জেলা পাঠাগার, সিবিআই কোর্ট। হতে চলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর, চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টও। ব্যবসাবাণিজ্যের দিক থেকে রানিগঞ্জ-বরাকরকে সঙ্গে নিয়ে আসানসোল পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। আসানসোল পরিকল্পিত শহর নয় ঠিকই, কোনও হেরিটেজধর্মী শহর তা হতে পারে না। আলাদা জেলা গঠনের জন্য আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মানুষের দাবি অনেক দিনের। আন্দোলনের ফসলটি দুর্গাপুর পেতে চলেছে, এটা সমীচীন নয় মোটেই।
অরুণাভ সেনগুপ্ত, কল্যাণপুর, আসানসোল-৫।
|
অবিভক্ত বাংলার এক কৃতী সন্তান দানবীর হাজি মহম্মদ মহসিনের স্মৃতিধন্য হুগলির ইমামবাড়া আজ ধ্বংসের প্রহর গুনছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ইমামবাড়ার নানা ঘর ও দর্শনীয় বস্তুসমূহ জরাজীর্ণ, ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। ফলে পর্যটকদের সমাগম সে ভাবে আর আজকাল দেখা যায় না। বিপজ্জনক ভবনের নানা স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। মূল ফটকের উপর বিশাল ঘড়িটি বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই ইমামবাড়া হেরিটেজ ভবনের তকমা পেলেও কেন তার কোনওরকম সংস্কার শুরু করা হয়নি তা অনেকের কাছেই বোধগম্য নয়।
শুকুর আলি, হুগলি।
|