|
|
|
|
তৃণমূলের তৎপরতা বাড়ছে উত্তর-পূর্বে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর-পূর্বে দলের আরও বিস্তার ঘটাতে চাইছে তৃণমূল। দলের মণিপুর রাজ্য কমিটিকে ‘শক্তিশালী’ করতে ঝটিকা সফর সেরে গেলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও কেন্দ্রীয় তথ্য ও জনসংযোগ প্রতিমন্ত্রী চৌধুরি মোহন জাটুয়া। সেই সঙ্গে নাগাল্যান্ডেও তৃণমূলের ভিত গড়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
মণিপুরে দলের প্রভাব কী ভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে প্রদেশ সভানেত্রী কিম গাংতে, সাত বিধায়ক ও ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ডেরেক ও জাটুয়া। মণিপুরের বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূলের নেতা ও সমর্থকেরা রবিবার ইম্ফলে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ডেরেক জানান, রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে তৃণমূল বেশ ভাল কাজ করছে। রাজ্য নেতৃত্বকে সাহায্য করতে, দিল্লি ও কলকাতার নেতারা নিয়ম করে মণিপুরে আসবেন। ডেরেক আরও বলেন, “তৃণমূলের ওয়েবসাইটে মণিপুরের জন্য পৃথক অংশ আসতে চলেছে। সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের মানুষ, মণিপুর সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবেন।”
এখন পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততা চলছে মণিপুরে। এই নির্বাচনে কোনও দলের প্রতীক থাকে না। তবে দলের প্রদেশ মুখপাত্র শিবচন্দ্র জানান, স্থানীয় ভাবে কংগ্রেস-মনোভাবাপন্ন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল-মনোভাবাপন্ন প্রার্থীদের নৈতিক সমর্থন দেওয়া হচ্ছে। এই ভাবেই গ্রাম-প্রধান মণিপুরের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত আরও ভাল ভাবে পৌঁছতে চায় পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শাসক দল।
নাগাল্যান্ড থেকেও বেশ কিছু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরাগী নেতা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সামনেই মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানেও তৃণমূল লড়তে চলেছে বলে জল্পনা রয়েছে। ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে অনেকেই কলকাতায় যোগাযোগ শুরু করেছেন। কিন্তু ডেরেক ‘তাড়াহুড়ো’ করতে নারাজ। তিনি বলেন, “মমতার জমানায় বাংলার উন্নয়ন ও দিদির স্বচ্ছ ভাবমূর্তি উত্তর-পূর্বের মানুষকেও মুগ্ধ করেছে। অনেকেই চাইছেন, আমরা আরও বেশি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ি। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। আমি কলকাতায় হাইকম্যান্ডকে সব জানাব। বিশদ আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|