|
|
|
|
জখম ৬ |
মণিপুরে ফের বিস্ফোরণ, নিহত জওয়ান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অসমে গুয়াহাটির পল্টনবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই এ বার বিস্ফোরণ মণিপুরের বিষ্ণুপুরে।
এক সপ্তাহের মধ্যে মণিপুরে এটি তৃতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা। কেইশমপত, তিড্ডিম রোডের পরে এ বার ঘটনাস্থল বিষ্ণুপুর জেলার কুম্বি। এই ঘটনায় মারা গিয়েছেন আসাম রাইফেলসের এক জওয়ান। জখম ৬ জওয়ান হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে ৩৩ আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা কুম্বি এলাকার রাস্তায় জগিং করার সময়ই বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে জখম সাত জওয়ানকে ভর্তি করা হয় সেন্দ্রা হাসপাতালে। হাসপাতালে নায়েক সুবাদার শ্রীনিবাস রাও নামে এক জওয়ানের মৃত্যু ঘটে। চিকিৎসাধীন আরও দুই জওয়ানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এই বিস্ফোরণে কোন ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। কেইশমপতের বিস্ফোরণের দায় নিয়েছিল ইউএনএলএফ। তিড্ডিম রোডের দায় নেয় পিএলএ। আজকের ঘটনার দায় নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন পিএলএ।
অন্য দিকে, কাল রাতে গুয়াহাটির পল্টনবাজার এলাকায়, ডিমাপুরগামী সিআরপিএফ জওয়ানদের উপরে গ্রেনেড হামলার দায় নিয়েছে পরেশপন্থী আলফা। আজ এক বিবৃতি পাঠিয়ে পরেশপন্থী আলফা জানায়, ‘ভারতীয় দখলদার বাহিনী’র বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রাণে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে, জওয়ানদের আশপাশে না থাকার উপদেশ দিয়েছেন এই জঙ্গি সংগঠনের প্রচার বিভাগের সদস্য অরণ্য অসম।
গুয়াহাটিতে ওই হামলায় মারা গিয়েছেন ৬৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের হাবিলদার ভবানী সিংহ। তাঁর বাড়ি রাজস্থানে। (রবিবার প্রকাশিত সংবাদে ভুলবশত ২ জওয়ান মারা গিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল)।
জখম হন ভবানীর চার সঙ্গী অশোক খাণ্ডব, মনোজ কুমার, কর্তার সিংহ। জওয়ানরা ছাড়াও, স্প্লিন্টারের আঘাতে তিন মহিলা-সহ ৯ জন জখম হন। আজ সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নাশকতার নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। হাসপাতালে গিয়ে জখমদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। নিহত জওয়ানের নিকটাত্মীয় ও জখমদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন গগৈ।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানান, গ্রেনেড বিস্ফোরণস্থলের খুব কাছেই পিনটি পড়েছিল। তার অর্থ, একেবারে কাছ থেকেই ওই গ্রেনেডটি ছোড়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রেনেড ছুড়ে দুই যুবক উলুবাড়ির দিকে তীব্রবেগে বাইক চালিয়ে পালিয়ে যায়। দুই বাইক আরোহীকে ধরতে না পারলেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে। গত বছর, গুয়াহাটির জু রোডেও মোটরবাইক থেকে গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল।
রাজ্যের আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) এল আর বিষ্ণোই ও জেলাশাসক আশুতোষ অগ্নিহোত্রী দুই জনই জানান, নিরাপত্তাবাহিনীর উপরে জঙ্গিরা আঘাত হানতে পারে সেই সতর্কবার্তা ছিলই। তবে, পল্টনবাজার থানার দেওয়াল ঘেঁষে, উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে, ভিড় রাস্তায় এইভাবে গ্রেনেড ছুড়ে পালাবে জঙ্গিরা, তা পুলিশও ভাবতে পারেনি। নিরাপত্তার ব্যর্থতা কার্যত মেনে নেন জেলাশাসক। |
|
|
|
|
|