|
|
|
|
অভিনেতার সঙ্গে বচসা, ধৃত যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দক্ষিণ শহরতলির ঠাকুরপুকুর-বেহালার ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন অভিজিৎ মৈত্র ওরফে পিকলু। তোলাবাজির অভিযোগে তিন মাস আগে লালবাজারের গোয়েন্দারা পিকলুকে গ্রেফতার করেন।
রাজ্যে পরিবর্তনের পরে পর্ণশ্রী থানার নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা অভিজিৎ মৈত্র ওরফে পিকলু প্রভাবশালী হয়ে উঠতে থাকেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ জানায়, ঠাকুরপুকুর-বেহালার প্রায় আটটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন পিকলু। এলাকায় তৃণমূলের নানা অনুষ্ঠানেও থাকতেন তিনি। গত বুধবার অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন পিকলু। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পিকলুকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে অভিযোগ, দিদির বাড়িতে এসেছিলেন সোহম। সোহমের গাড়ির আগে চলে আসে পিকলুর রিকশা। পিকলু নেমে সোহমকে গাড়ি পিছোতে বলেন। তা নিয়ে সোহমের সঙ্গে পিকলুর হাতাহাতি হয়। সোহমকে নিগ্রহ করার অভিযোগে পিকলু গ্রেফতার হন। অভিযোগ, পরের দিন জামিনে মুক্ত হয়ে সোহমের দিদির বাড়িতে হামলা চালান পিকলু। ফের শনিবার পিকলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পিকলুকে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পিকলুর সঙ্গে বেহালা-ঠাকুরপুকুর থানা এলাকায় একাধিক সমাজবিরোধীর যোগাযোগ আছে। পিকলুর বিরুদ্ধে বহু প্রোমোটারের থেকে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের কয়েক জন প্রভাবশালী নেতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পিকলুকে কেউ চটাতে সাহস পেতেন না। স্থানীয় কয়েক জন প্রোমোটার জানান, পিকলুর তোলাবাজির বিষয়টি এলাকার কয়েক জন তৃণমূল নেতাকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিকার হয়নি। উল্টে পিকলু তাঁদের মেরে ফেলার শাসানি দেন। কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। দলগত ভাবে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।” |
|
|
|
|
|