রিপোর্ট চান রাজ্যপালও
ত্রিফলা-বরাতের ফাইল তলব করল এজি-র অফিস
লকাতা পুর-এলাকায় ত্রিফলা আলো লাগানো নিয়ে যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইল চেয়ে পাঠাল কলকাতার অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল (এজি)-এর অফিস। পুরসভার খবর: এজি দফতরের ভারপ্রাপ্ত অডিট অফিসারের কাছে ফাইলগুলি পাঠানোর জন্য পুরসভার ডিজি (আলো) গৌতম পট্টনায়ককে বার্তা দিয়েছে এজি’র অফিস।
এ দিকে ত্রিফলা আলোর বরাতে ‘অনিয়ম’-এর অভিযোগ নিয়ে পুর-প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনও। রাজভবনের পাঠানো চার লাইনের চিঠিতে ত্রিফলা আলোর বরাত সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। পুর-সূত্রের দাবি: পুর-কমিশনার ইতিমধ্যে সেই রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যে তা রাজ্যপালকে পাঠানো হবে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য রবিবার বলেন, “রাজ্যপালের কোনও চিঠির কথা আমি জানি না। এজি-র অফিস থেকে ফাইল চেয়ে পাঠানোর ব্যাপারটাও আমার জানা নেই।”
পুর-সূত্রের খবর: কলকাতার সৌন্দর্যায়নে প্রায় কুড়ি হাজার ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ লাগিয়েছে পুরসভা। অভিযোগ, দরপত্রের বালাই না-রেখে প্রায় ৩০ কোটি টাকার কাজ ৫ লক্ষ টাকার কম অঙ্কের ছ’শোটি কাজে ভাগ করে বরাত দিয়ে দেওয়া হয়। পরে ঠিকাদারদের টাকা মেটানোর জন্য পুরসভার অর্থ দফতরে বিল জমা পড়তেই বিষয়টি ধরা পড়ে। অর্থ দফতর জানায়, নিয়ম বর্হিভূত ভাবে বরাত দেওয়া হয়েছে। অর্থ-রিপোর্ট দেখে পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ সব বিল আটকে দেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন। আর এ সব তথ্য ফাঁস হতেই পুরো ঘটনার তদন্ত চেয়ে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেয় বামফ্রন্টের প্রতিনিধিদল।
শুধু বিরোধী শিবিরে নয়, ত্রিফলা-বরাতে ‘অনিয়ম’ ঘিরে গত ৩১ অগস্ট পুরসভার মেয়র পরিষদ বৈঠকেও যথেষ্ট আলোড়ন হয়েছে। পুরসভার এক সূত্র জানান, বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আগে অর্থ দফতর ও পুর-কমিশনারের দেওয়া নোট মেয়র পারিষদদের বিলি করে হয়েছিল। অর্থ দফতরের নোটে অভিযোগ, মেয়রের জারি করা একটা নির্দেশও মানেননি আলো বিভাগের ডিজি। মেয়রের নির্দেশ ছিল, বিল দেওয়ার আগে নিয়ম মেনে কাজ হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে হবে। পুর-সূত্রের খবর: বিল মেটাতে এমন কিছু ফাইল জমা পড়েছে, যাতে এক-একটা ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের পিছনে খরচ ২৭ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। অথচ পুরসভার মেয়র পারিষদ (আলো) মনজার ইকবাল এবং ডিজি গৌতমবাবুর দাবি, বাতিস্তম্ভপিছু খরচ পড়েছে ১৭৬৯০ টাকা!
এমন নানা অনিয়মের ইঙ্গিত পেয়ে ডিজি (আলো)-কে শো-কজ করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে মেয়র পরিষদে। যদিও শো-কজের চিঠি গৌতমবাবু এখনও হাতে পাননি। পুর সচিবালয়ের খবর, মেয়র পরিষদ বৈঠকের গৃহীত প্রস্তাবে মেয়র এখনও সই করেননি। মেয়র সই করলেই ডিজি (আলো)-কে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরানো হবে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.