|
|
|
|
বেহালা-কাণ্ড |
ডাকাতির জন্যই কি খুন, ধন্দে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ভট্টাচার্য-বাড়িতে চড়াও হয়ে মুন্নারা কেন চার-চার জনকে খুন করল, এই প্রশ্নটাই আপাতত ভাবাচ্ছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের। সরকারি ভাবে যদিও বলা হচ্ছে যে, ওই বাড়িতে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা রয়েছে এমন ধারণার নিয়েই সেখানে চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পুলিশের অন্য একটি অংশের বক্তব্য, স্রেফ ডাকাতি করতেই গিয়েই খুন, বিষয়টা এমন না-ও হতে পারে। |
|
বেহালা খুনের রহস্যভেদ। রবিবার লালবাজারে জানাচ্ছেন কমিশনার রঞ্জিত পচনন্দা। —নিজস্ব চিত্র |
পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, দীপকবাবুর বাড়িতে কয়েক লাখ টাকা মিলবে বলে মুন্না তার তিন শাগরেদকে টোপ দিয়েছিল। কী ভাবে সেই টাকা হাতানো যায় তা ঠিক করতে গত মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক সঙ্গে বসেছিল তারা। সেখানেই ডাকাতি ও খুনের ছক কষা হয়েছিল।
কিন্তু ডাকাতিই যে খুনের একমাত্র কারণ, সে ব্যাপারে তদন্তকারীদের একাংশ এখনও নিশ্চিত নন। বৃহস্পতিবার, ঘটনার দিনেই তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছিলেন, “দীপকবাবুদের ঘরের একাধিক আলমারি খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। যা থেকে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়, লুঠ করতে এসেই খুন করা হয়েছে। কিন্তু গৌরীদেবীর হাতের সোনার বালা নিয়ে যায়নি দুষ্কৃতীরা।” কোনও কোনও তদন্তকারী বলছেন, হঠাৎ বাড়ির ল্যান্ডলাইনে ফোন এসে যাওয়ার পরে ভয় পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ফলে জিনিসপত্র হাতানো তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিন্তু গত তিন-চার মাস যাবৎ মুন্নার সঙ্গে দীপকবাবু ও তাঁর মা’র মনোমালিন্য চলছিল বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে। এক গোয়েন্দা-কর্তার কথায়, “খুনের ধরন দেখে সন্দেহ হতেই পারে যে, নিছক ডাকাতির জন্য ওঁদের মারা হয়নি। মুন্নাকে আরও জেরা করলে আরও তথ্য মিলতে পারে। হত্যা-চক্রান্তে অন্য কারও জড়িত থাকা অসম্ভব নয়।”
মুন্না-সহ চার ধৃতকে এ দিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে তাদের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। |
|
|
|
|
|