স্কুল শিক্ষিকাকে ‘কটূক্তি’র প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে মার খেয়ে আহত হলেন আইন কলেজের এক ছাত্র। রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে নানুরের কীর্ণাহার সিনেমাতলা লাগোয়া একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের সামনে। এই ঘটনায় নানুর থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে স্থানীয় পরোটা গ্রামের বাড়ি থেকে বাবা প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী তথা শিক্ষক কিংশুক রায়কে রক্ত পরীক্ষার জন্য ওই ল্যাবে নিয়ে যান ছেলে মুর্শিদাবাদের কান্দি আইন কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র প্রবাল রায়। ওই ল্যাবে রক্তপরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। |
প্রহৃত যুবক। ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
প্রবালবাবুর অভিযোগ, “ওই ল্যাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ৫-৬ জন যুবক শিক্ষিকাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করছিল। আমি গিয়ে প্রতিবাদ করায় ওরা আমার গলায় ব্লেড চালিয়ে দেয়। মাথায় লাঠির বাড়ি মারে। বাবা বাঁচাতে এলে তাঁর উপরে বটি নিয়ে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। আটকাতে গেলে বটির আঘাত লাগে।”
নানুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর চিকিৎসা হয়। ওই যুবকের দাবি, “খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই যুবকেরা ওই এলাকায় নিয়মিত মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। স্থানীয় এক বৃদ্ধা তাদের এক জনের নামও জানায়। সেই মতো নানুর থানায় অভিযোগ করি।” পুলিশ জানায়, ওই নামের সূত্রে আরও তিন জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “অভিযুক্তদের ধরার জন্য এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।” যদিও শিক্ষিকা বলেন, “আমি ভিতরে ছিলাম। বাইরে এসে দেখি ওই যুবককে মারধর করছে।” ল্যাবের মালিক অবশ্য এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। |