নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
জেলায় ফের তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এল। রবিবার রামপুরহাটে এক কর্মিসভায় জেলার সাত দলীয় বিধায়কের মধ্যে ৫ জন উপস্থিত ছিলেন। ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র প্রসঙ্গ এড়িয়ে রামপুরহাটের বিধায়ক তথা জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় ১৪ মাস ধরে রাজ্যের জন্য যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করে চলেছেন কর্মীদের সামনে তা তুলে ধরতে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে।”
তবে এ দিন রামপুরহাট মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তৃণমূল কর্মীরা দাবি করেন, “রামপুরহাট মহকুমার তৃণমূল কর্মীরা আশিসবাবুর নেতৃত্ব ছাড়া চলেনি, কোনও দিন চলবেও না। যাঁরা মনে করছেন রামপুরহাট অভিভাবকহীন বা পুরনো কর্মীদের বাদ দিয়ে নতুন কর্মীদের সামনের সারিতে বসাবেন, তাঁদের একদিন পিছনের সারিতে বসতে হবে। এ দিনের এই সভা থেকে তা শুরু হল।” গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী রামপুরহাটে সভা করেছিল। সেখানে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় অনুস্থিত ছিলেন। ওই সভায় দাবি করা হয়েছিল, রামপুরহাট ‘অভিভাবকহীন’।
এ দিনের সভার আহ্বায়ক ছিলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকে তৃণমূল যুবার ব্যানারে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক রামপুরহাট শহরে মিছিল করে সভাস্থলে যান। বিধায়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ির স্বপনকান্তি ঘোষ, মুরারইয়ের নুরে আলম চৌধুরী, নানুরের গদাধর হাজরা, কেতুগ্রামের শেখ সাহনওয়াজ। এ ছাড়া ছিলেন রামপুরহাটের তৃণমূল কাউন্সিলর আব্বাস হোসেন ও প্রাক্তন পুরপ্রধান নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুপস্থিত বিধায়কদের মধ্যে হলেন বোলপুরের চন্দ্রনাথ সিংহ, লাভপুরের মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া, বর্তমান পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি, অন্যান্য তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ আরও অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন। আশিসবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল যাতে জেলায় ক্ষমতা দখল করতে পারে সেটাই হবে উপস্থিত দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য। সে জন্য তৃণমূল যুবার নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে।”
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “আমরা দলেরশৃঙ্খলার মধ্যে চলি। সেই শৃঙ্খলা যদি কেউ ভেঙে সভা করে তা হলে সেটা মুর্খামি। দলের উঁচু স্তরে জানিয়েছি।” |