শহরে রয়েছে ছোট-বড় অজস্র পুকুর ও ডোবা। আয়তন অনুপাতে জনসংখ্যাও বেশি। পুর এলাকার বহু নর্দমাই দীর্ঘ দিন সংস্কার হয় না। মজে গিয়েছে বহু জলাশয়। আর এ সবের কারণেই শহরে মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ কালনা পুর এলাকার বাসিন্দাদের। পুরসভার তরফেও মশার উৎপাত রুখতে এখনও পর্যন্ত বিশেষ উদ্যোগ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। পুর-কর্তৃপক্ষের অবশ্য আশ্বাস, মশার উপদ্রব কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। |
কালনা পুর এলাকায় ১৮টি ওয়ার্ড। মোট জনসংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার। পুরবাসীদের অভিযোগ, গোটা এলাকা জুড়ে মশার উপদ্রব ইদানীং বেড়েছে। ফলে মশাবাহিত রোগের আশঙ্কায় ভুগছেন বাসিন্দারা। এমনই এক বাসিন্দা মানস পালের কথায়, “এ বার গ্রীষ্মের শুরু থেকেই শহরে মশার দাপট বেড়ে চলেছে। মশারি থেকে বেরোনোর জো নেই, ঝাঁপিয়ে পড়ছে মশার দল।” গৃহবধূ স্বপ্না সেন বলেন, “মশার জ্বালায় সন্ধ্যায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করা মুশকিল হয়ে উঠেছে। সারা দিন ঘরের সব দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। তাতেও যে রেহাই মিলছে, তেমনটা নয়।” তিনি আরও বলেন, “এখন তো রাজ্যের নানা জায়গায় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবের কথা শুনছি। এখানকার পরিস্থিতি দেখে বেশ ভয়ে আছি। পুরসভার এখনই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া উচিত।” আর এক বাসিন্দা পুলক মণ্ডলের কথায়, “এই মুহূর্তে শহর জুড়ে মশা নিরোধক ওষুধ স্প্রে করা উচিত। তা হলে হয়তো খানিকটা স্বস্তি মিলতে পারে। আশা করি, বাসিন্দাদের স্বার্থে পুরসভা শীঘ্র উদ্যোগী হবে।” |
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের পুকুর ও জলাশয়গুলি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার হয় না। এলাকার অনেক নালাতেও জল জমে থাকে দিনের পর দিন। অপরিষ্কার এই সব নালা মশার আঁতুড়ঘর বলে দাবি এলাকাবাসীর। পাশাপাশি, এ বার এখনও পর্যন্ত ভাল বর্ষা না হওয়াও মশার উপদ্রবের অন্যতম কারণ হতে পারে বলে ধারণা বাসিন্দাদের। এলাকায় মশার সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন কালনার পুরপ্রধান বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। তিনি বলেন, “মশা দমনের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে বিশেষ ধরনের তেল আনা হচ্ছে। দু’এক দিনের মধ্যে তা এসে যাবে। তা এসে গেলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্প্রে করা শুরু হবে।” তিনি জানান, স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের নিয়ে একটি লিফলেট বিলি করা হবে। মশার হাত থেকে বাঁচার জন্য কী কী করণীয়, ওই লিফলেটের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে তা জানানো হবে।
|