এডিডিএ-র সমবায়ে আসন ভাগ করে নিল দুই সংগঠন
পুরভোট থেকে শুরু করে নানা সমবায়ের ভোট, গত দেড় বছর ধরে যে কোনও নির্বাচনেই অশান্তি দেখেছে দুর্গাপুর। অথচ শনিবার আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থা কর্মী ঋ ণদান সমবায় সমিতির নির্বাচনে দেখা গেল উল্টো চিত্র। উত্তেজনা তো দূর, সিটু এবং আইএনটিটিইউসি-র মধ্যে কার্যত আসন ভাগাভাগি হল এই ভোটে। দু’পক্ষই অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করতে চায়নি।
এডিডিএ-র কর্মী ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালন পর্ষদে ১৯৮৭ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় সিটু। আসন মোট ১০টি। ভোটদাতা ১৮৩ জন। এ বার সিটু ও আইএনটিটিইউসি, দু’পক্ষই প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছিল। সে ভাবেই এগোচ্ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াও। কিন্তু ২৭ অগস্ট মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে দেখা যায়, পরিচালন পর্ষদে থাকা সিটুর দুই সদস্য আইএনটিটিইউসি-র হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, ১০টি আসনের ৫টিতে সিটু ও বাকি ৫টিতে আইএনটিটিইউসি প্রার্থী দিয়েছে। শনিবার অবশ্য নির্বাচনের জন্য সব ব্যবস্থাই রেখেছিল সমবায় দফতর। পরে রিটার্নিং অফিসার অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “দু’টি পক্ষ আসন সমঝোতা করে নেওয়ায় নির্বাচনের আর দরকার পড়েনি।” সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’পক্ষ মিলেই এ বার বোর্ড চালাবে।
গত ২ জুলাই দুর্গাপুর স্টিল পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের নির্বাচনে সিটু-আইএনটিটিইউসি-র মধ্যে অশান্তি হয়। ওই সমবায়ের ক্ষমতা হারায় সিটু। এর পরে ৫ অগস্ট দুর্গাপুর মহিলা সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটেও খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পরিচালন পর্ষদের মোট ৪৬টি আসনের মধ্যে ৩৬টিতে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গিয়েছিলেন বাম প্রার্থীরা। সে দিন ভোট নেওয়া হয় মাত্র ৯টি আসনে। অথচ সেই নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক অশান্তি হয়। হামলা হয় সিটি সেন্টারে সিপিএমের জোনাল অফিসেও। এমন পরিস্থিতিতে এডিডিএ-র কর্মী ঋণদান সমবায় সমিতির ভোট প্রক্রিয়া সমাপ্ত হল কার্যত চুপিসাড়ে। এডিডিএ-র আইএনটিটিইউসি সংগঠনের পক্ষে শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে কোনও মাতামাতি করা হয়নি। কর্মীরাই নিজেরা প্রার্থী হয়েছেন।” আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি। যা হয়েছে তা একেবারে নিচুতলায়। আমার সঙ্গে কেউ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি।” সিটুও অবশ্য সরাসরি আইএনটিটিইউসি-র সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি স্বীকার করতে চায়নি। এডিডিএ-র কর্মী সংগঠনের সিটু নেতা দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, যা হয়েছে তা কাকতালীয়। তাঁর কথায়, “মনোনয়ন জমা পড়ার পরে দেখা যায়, আমাদের একাধিক সদস্য আইএনটিটিইউসি-র হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। এটা আমরা আগে অনুমান করতে পারিনি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.