ছেলেকে না পেয়ে দুষ্কৃতীরা বাবাকে গুলি করে খুন করার ঘটনায় কালিয়াচক থানার সুজাপুরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাটি ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে গভীর রাত অবধি মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের প্রতিশ্রুতিতে রাত একটা নাগাদ মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম বিলায়েত আলি (৫৫)। তাঁর বাড়ি সুজাপুরের ব্রহ্মত্তর গ্রামে। সিপিএমের দাবি মৃত বিলায়েত আলি তাঁদের সমর্থক। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে মধুঘাটের কাছে একটি হাট থেকে সাইকেলে চেপে বিলায়েত আলি বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর রাস্তা আটকায়। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে দুস্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে গুলিবিদ্ধ বিলায়েত আলিকে সুজাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, দেড়মাস আগে নিহতের ভাইপো মাদ্রাসার শিক্ষক ওবাইদুরকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “বিলায়েত আলিকে খুনের অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে।” নিহতের ছেলে আনিকূল শেখ সমাজবিরোধী বলে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে। মাসখানেক আগে পুলিশ আনিকুল শেখকে গ্রেফতার করে। বতর্মানে সে জেল হাজতে। পুলিশের ধারণা, আনিকুলকে না পেয়ে দুষ্কৃতীরা তার বাবাকে গুলি করে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “কালিয়াচকে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বিলায়েত আলি আমাদের সমর্থত। কারা ওই ঘটনায় জড়িত তা পুলিশ জানে। দুষ্কৃতীদের ধরা হচ্ছে না।” দলীয় সমর্থকের গ্রেফতারের প্রতিবাদে হবিবপুরে বন্ধের ডাক দিয়েছিল কেপিপি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বমর্ন বলেন, পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল।” পুলিশ জানায়, জমি দখল করার অভিযোগে একজন কেপিপি সমর্থককে ধরা হয়েছিল। |