ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে এক বালকের মৃত্যু হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কালীদাস দত্ত বলেন , “মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে কলকাতার হাসপাতালে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।’’ মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে হলদিয়া ও ভগবানপুরের আরও দু’জন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁরাও ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে অনুমান করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুকের হুড়িনান গ্রামের প্রসেনজিৎ সামন্ত (৭) ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কলকাতার বি সি রায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত যে ৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, তাঁদের মধ্যে তিন জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। এঁদের বাড়ি কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া এলাকায়। মঙ্গলবার আবার ভগবানপুরের কোটবাড় এলাকার এক বৃদ্ধ জ্বর নিয়ে তমলুকের নার্সিংহোমে ভর্তি হন। এ দিনই হাওড়ার শ্যামপুর এলাকার এক বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তমলুকের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন। পরে দু’জনকেই চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। এ দিকে মঙ্গলবার রাতে হলদিয়ার ব্রজলালচক এলাকার গৃহবধূ বছর আঠাশের অস্টমী জানা জ্বর নিয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার সকালে ভগবানপুরের কাকরা এলাকার যুবক বিবেকানন্দ মাইতি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এঁরাও ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপ বিশ্বাস জানান, জ্বরে আক্রান্তদের দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করতে জেলার প্রতিটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মহকুমা হাসপাতালকে ১০টি করে ‘কিট’ দেওয়া হয়েছে। মশাবাহিত এই জ্বর নিয়ে আতঙ্ক রুখতে ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছেন।
ডেঙ্গিতে মৃত প্রসেনজিৎ সামন্তের বাড়ি যে এলাকায়, সেখানে সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট খারুই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বামদেব গুছাইত বলেন, “পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ও স্বাস্থ্য দফতরের সহায়তায় মঙ্গলবার ওই গ্রামে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। এলাকায় মশার দাপট রুখতে জঞ্জাল সাফাই, ব্লিচিং-ফিনাইল ছড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |