বুধবার ভোর রাতে শিলিগুড়ি কমিশনারেট এলাকার কামরাঙাগুড়িতে একটি বাড়ির ভেতর ট্রাক ঢুকে পড়ায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সে সময় ঘরে শুয়েছিলেন এক দম্পতি ও তাঁর দুই ছেলে। ঘটনাস্থলেই এক জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের শিলিগুড়ি মেডিকাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মহম্মদ আমিরুল (৬২)। তাঁর স্ত্রী গফরুন্নিসাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করলেও চালক ও খালাসি পালিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, এ দিনই অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি থেকে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দাবি করেছে, যুবকটি ভবঘুরে। ভোর রাতে কোনও গাড়ির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও জি পাল বলেন, “দুটি ঘটনাতেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। কামরাঙাগুড়ির ঘটনায় ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে অজ্ঞাত পরিচয় বছর ২৫-এর ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিছুক্ষড় পরে তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের বাঁ পা ভাঙা ছিল। হাতের কনুইতেও চোটের চিহ্ন দেখা যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার ওই যুবককে একটি বেল্ট হাতে নিয়ন্তিত বাজার সমিতিতে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে দেখা যায়। তাঁর পরনে তিনটি প্যান্ট এবং গায়ে একটি জামা ছিল। পুলিশ জানায়, রাত ৩টার পর থেকে নিয়ন্ত্রিত বাজর সমিতিতে প্রচুর ট্রাক ঢোকে। মাছ, সবজি ও ফলের বাজারে সেগুলি যায়। মাছ বাজারের দিকে যাওয়ার রাস্তাতেই ওই যুবকের দেহ পড়েছিল। সেই সময়েই কোনও গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মেরেছে বলে সন্দেহ পুলিশের। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ নজরদারিতে থাকলে গাড়িটিকে আটক করা যেত। মোটামুটি ওই সময়েই দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে। জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে একটি ট্রাক রাস্তার ধারে থাকা একটি বাড়িতে ধাক্কা মারে। একটি গাছ ভেঙে নিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে যায় ট্রাকটি। ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতেই মহম্মদ আমিরুল নামে এক জনের মৃত্যু হয়। |